বলিউডের (Bollywood) ইতিহাসের অন্যতম দুই সেরা অভিনেত্রী হলেন রানী মুখার্জি (Rani Mukerji) এবং কাজল (Kajol)। অনেকেই জানেন না, বি টাউনের এই দুই প্রথমসারির অভিনেত্রী বাস্তবে দুই বোন। নিজের নয়, বরং খুড়তুতো বোন তাঁরা। পাশাপাশি রানী এবং কাজলের মধ্যেকার খারাপ সম্পর্কের কথাও অনেকের কাছে অজানা। একই বংশের মেয়ে হয়েও বলিউডে কাজ করতে গিয়ে একে অপরের চরম শত্রু (Enemy) হয়ে গিয়েছিলেন রানী এবং কাজল।
সুপারহিট ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’র মাধ্যমে বলিউড পা রেখেছিলেন রানী। প্রথম ছবিতেই নিজের দুর্দান্ত অভিনয় এবং সৌন্দর্যের মাধ্যমে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন ‘বিয়ের ফুল’ অভিনেত্রী। কাজল অবশ্য ততদিনে ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ হয়ে গিয়েছেন। তবে শোনা যায়, করণ জোহর পরিচালিত এই ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে রানীকে একেবারেই মেনে নিতে পারেননি কাজল।
আসলে খুব ছোট বয়স থেকেই নাকি রানী এবং কাজলের মুখ দেখাদেখি প্রায় বন্ধ ছিল। কাজল এবং রানীর পিতা রাম এবং সোমু মুখার্জি নিজের ভাই ছিলেন, তাঁদের মধ্যেই সম্পত্তি নিয়ে নাকি বিবাদ হয়েছিল। সেই জন্য তিক্ত হয়ে গিয়েছিল দুই পরিবারের সম্পর্কও। তাই রানী যখন বলিউডে পা রাখার চেষ্টা করছিলেন তখন কাজল নাকি প্রচণ্ড রকমভাবে তাঁর কেরিয়ার (Career) নষ্ট (Destroy) করার চেষ্টা করেছিলেন।
রানীকে যাতে কোনও ছবিতে না নেওয়া হয় সেই জন্য যশ রাজ ফিল্মসের কর্ণধার আদিত্য চোপড়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টাও করেছিলেন কাজল। সেই সঙ্গেই রানীকে ‘কুছ কুছু হোতা হ্যায়’তে নেওয়ার জন্য করণ জোহরের ওপরেও বেজায় চটেছিলেন অভিনেত্রী। কারণ করণই রানীর নাম প্রযোজকের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
হাজারোও চেষ্টা করলেও কাজল রানীকে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ থেকে বাদ দিতে পারেননি। দুই বোনের রেষারেষি নিয়েও হয়েছিল ছবির শ্যুটিং এবং বক্স অফিসেও দারুণ সফল হয়েছিল এই সিনেমা। তবে এখনও পর্যন্ত এটিই কাজল এবং রানীর শেষ সিনেমা। এরপর আর কোনও ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেননি তাঁরা।
তবে এখন অবশ্য রানী এবং কাজলের সম্পর্ক আগের থেকে অনেকটা ভালো হয়েছে। শোনা যায়, দুই অভিনেত্রীর পিতার প্রয়াণের পর কমতে থাকে তাঁদের সম্পর্কের তিক্ততা। এখন মাঝেমধ্যেই কাজল, রানী এবং কাজলের বোন তানিশাকে একসঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যায়। দুর্গাপুজোতেও একসঙ্গে পোজ দিতে দেখা যায় তিন বোনকে।