বলিউডের এক কিংবদন্তি অভিনেতা (Bollywood actor) হলেন ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)। তিনি দর্শকদের যে কত সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। যদিও শুধুমাত্র কাজের জন্যই নয়, নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সৌজন্যেও বহুবার চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনের বহু সিদ্ধান্তের জন্য কটাক্ষও শুনেছেন অভিনেতা।
ষাটের দশকে ধর্মেন্দ্রও অভিনয় জীবনের শুরু। ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন অভিনেতা। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে। অনস্ক্রিনে বহু সুন্দরী নায়িকার সঙ্গে রোম্যান্স করেছেন তিনি। মহিলামহলেও অভিনেতার জনপ্রিয়তা ছিল দেখার মতো।
ধর্মেন্দ্র নিজের কেরিয়ারে বহু সুন্দরী অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করলেও, তাঁর সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুর এবং হেমা মালিনীর (Hema Malini) জুটি দর্শকদের সবচেয়ে বেশি পছন্দের ছিল। ধর্মেন্দ্র এবং হেমা সত্তরের দশকের চর্চিত জুটিগুলির মধ্যে একটি ছিল। ‘শোলে’ ছবিতে তাঁদের রসায়ন ছিল দেখার মতো।
পর্দার বীরু এবং বসন্তীর প্রেম অবশ্য শুধুমাত্র পর্দাতেই আটকে ছিল না। তা গড়িয়েছিল বাস্তবেও। ‘শোলে’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময়ই তাঁদের এমন একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল যা দেখে চারিদিকে রীতিমতো ‘ঢি ঢি’ পড়ে গিয়েছিল।
শোনা যায়, ১৯৭৫ সালে ‘শোলে’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন ধর্মেন্দ্র এবং হেমা চেন্নাইয়ের একটি হোটেলে ছিলেন। একদিন দরজায় আওয়াজ না করেই সিনেমার পরিচালক হোটেলের ঘরে ঢুকে পড়েন। ভেতরে গিয়ে তিনি দেখেন, একই চাদরের মধ্যে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র এবং হেমা। বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করার পর সেই অবস্থাতেই দু’জনের সঙ্গে ছবিও তুলে নেন তিনি। এই বিতর্কিত ছবিই যখন সামনে এসেছিল তখন ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
হেমার সঙ্গে প্রেম শুরুর আগে থেকেই ধর্মেন্দ্র বিবাহিত ছিলেন। তাঁর ৪ সন্তানও ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘ড্রিম গার্ল’কে দেখে মন দিয়ে দেন অভিনেতা। ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রেম নিয়ে কম চর্চা হয়নি। তবে সেসব কথায় কান না দিয়ে বেশ কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ১৯৮০ সালে সাত পাক ঘোরেন দু’জনে। বি টাউনের এই চর্চিত তারকাজুটির দুই মেয়ের নাম ঈশা এবং অহনা।