বলিউড অভিনেতা এবং ‘নবাব অফ পটৌডি’ সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) যখন ১৯৯১ সালে অমৃতা সিংয়ের (Amrita Singh) সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন, তখন প্রায় সকল সংবাদ মাধ্যম জুড়ে ছিল তাঁদেরই চর্চা। কারণ, নায়কের বয়স তখন মাত্র ২১ এবং নায়িকা তখন ৩৩। শোনা যায়, পরিবারের সদস্যরাও তাঁদের এই বিয়েতে একেবারে খুশি ছিলেন না। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের ভালোবাসার কাছে মাথা নত করেন সকলে। তবে ভালোবেসে বিয়ে করলেও, শোনা যায় এই তারকা জুটির সম্পর্ক খুব একটা মধুর ছিল না।
সইফ-অমৃতা বিয়ের পর ১৩ বছর একসঙ্গে ছিলেন। এরপ ২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় দু’জনের। ততদিনে জন্ম হয়ে গিয়েছে সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খানের। তবে আপনি জানেন, অভিনেত্রী সইফের সন্তানের মা হতে চাইতেন না? হ্যাঁ, ঠিকই দেখছেন। অমৃতা নিজেই একবার বলেছিলেন, সইফের সন্তানের মা হতে চান না তিনি।
এমন সিদ্ধান্তের কারণও নিজেই জানিয়েছিলেন সইফ ঘরণী। আসলে, এই তারকা জুটি যখন পরিণয় সূত্রে বাঁধা পড়েন, তখন অমৃতা নায়িকা হিসেবে বেশ সফল হয়ে গিয়েছিলেন। তবে সইফের কেরিয়ার সবে শুরু হয়েছে। তাই কেরিয়ারের শুরুতেই স্বামীর ওপর সংসারের চিন্তা চাপিয়ে দিতে চাননি তিনি। বরং সংসারের চিন্তা ভুলে যাতে সইফ নিজের কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন সেটা সুনিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন অমৃতা।
২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর সইফ ২০১২ সালে অভিনেত্রী করিনা কাপুর খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে অমৃতা এখনও একাই রয়েছেন। দুই সন্তান, সারা এবং ইব্রাহিমকে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। অপরদিকে সইফ আরও দুই সন্তানের পিতা হয়েছেন। তাঁর এবং করিনার দুই পুত্র সন্তান রয়েছে, তৈমুর এবং জাহাঙ্গীর।
বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে এই তারকা জুটিকে একসঙ্গে প্রায় দেখা যায়নি বললেই চলে। তবে যখন তাঁদের মেয়ে পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় চলে গিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁকে ছাড়তে সইফ এবং অমৃতাও যান। সেখানেই সইফের সঙ্গে সারা নৈশভোজ করার সময়, মা অমৃতাকেও ডেকে নেন। মেয়ের কথা রাখতে সইফের সঙ্গে সেই শেষবার দেখা গিয়েছিল তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী’কে।
সইফ এবং অমৃতার কাজের দিক থেকে বলা হলে, অভিনেত্রীকে শেষবারের মতো ‘হিরোপন্তি ২’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল। অপরদিকে সইফকে দেখা গিয়েছিল ‘বান্টি অউর বাবলি ২’ সিনেমায়। অভিনেতার হাতে এখন ‘আদিপুরুষ’ এবং ‘বিক্রম বেধা’ রয়েছে।