বলিউডের সুপারস্টার অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar), এটা আলাদা করে বলার কিছুই নেই। তেমনিই বলিউডের ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রতি বছর কয়েকশো কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়ে থেকেন অভিনেতা। তাই অভিনেতার জীবনযাপন যে রাজকীয় হালে কাটে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অক্ষয় কুমার বলিউডের অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্নাকে (Twinkle Khanna) বিয়ে করেছেন। রাজেশ খান্নার মেয়ে টুইঙ্কেলেরও সম্পত্তি কোনো অংশে কম নয় অক্ষয়ের থেকে।
স্বামী স্ত্রী দুজনের অঢেল টাকা ও সম্পত্তি রয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু একবার ছেলে আরভ (Aarav) মা টুইঙ্কেল খান্নার কাছে এক অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসেছিল। জানতে চেয়েছিল ‘মা আমরা এত বড়োলোক কেন?’ সম্প্রতি টুইক ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন টুইঙ্কেল খান্না। সেখানেই রাজকীয়ভাবে বেড়ে ওঠার কথা উঠতে নিজের সন্তানের অদ্ভুত প্রশ্নের কথা সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন অভিনেত্রী।
আসলে বলিউডে কাজের সূত্রে কোটি কোটি টাকা রোজগারের কথা সকলেই জানে। তাই সাধারণ মানুষের ধারণা সেলেব্রিটিদের সন্তানরা রীতিমত বিলাসবহুল জীবনযাপনের মধ্যে দিয়েই বড় হয়ে ওঠে। অবশ্য বাবা মায়েরা সর্বদাই চান যে তাদের সন্তানেরা যাতে সমস্ত কিছু পায়। কিন্তু বিলাসিতা থাকলেও মন খারাপ হয় অনেক সময়। আরভের এক প্রশ্নেই সেটাই বুঝতে পেরেছিলেন মা টুইঙ্কেল খান্না।
অভিনেত্র্রী মতে, আরভ তখন অনেকটাই ছোট হটাৎ সে জিজ্ঞাসা করে আমরা কেন এত আরামে থাকি? বাকিদের থেকে কেন এত বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করি আমরা? টুইঙ্কেল জানান, ‘রুপোর চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছ যখন, তখন তো তার যত্ন আর মর্যাদার সাথে দায়িত্বও নিতে হবে তোমাকেই। সেখানে যদি চামচ রুপোর না হয়ে প্লাস্টিকের হয় , সেটাও সামলানো তোমারই দায়িত্ব’।
এখানেই শেষ নয়, টুইঙ্কেল আরও বলেন, ‘রুপোর চামচ হোক বা প্লাস্টিকের যখন খাবার খাবে তখন সেই খাবারের ভাগ তুলে দেবে তাদের মুখে যাদের দেখা কেউ নেই!’ মায়ের থেকে এই কথাগুলি শোনার পরে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছিল আরভের মধ্যে। টুইঙ্কেল নিজেই জানান, ‘সেদিনের পর থেকেই আস্তে আস্তে পাল্টে গিয়েছিল আরভ। বুঝতে পেরেছিল বিলাসিতাকে কাজে লাগিয়ে অসহায় মানুষের সাহায্য করা যায় পাশে দাঁড়ানো যায়।