বলিউড সুপারস্টার আমির খানের (Aamir Khan) সময়টা সত্যিই একেবারে ভালো যাচ্ছে না। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কট ট্রেন্ডের মুখোমুখি হয়ে বক্স অফিসে চরম ফ্লপ হয় তাঁর ‘ড্রিম প্রোজেক্ট’ ‘লাল সিং চাড্ডা’। এবার অভিনেতার নতুন বিজ্ঞাপন (Advertisement) দেখেও চটে গিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। সেই বিজ্ঞাপন দেখে ক্ষিপ্ত নেটিজেনদের তালিকায় রয়েছে সুপারহিট ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর (Vivek Agnihotri) নামও।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে আমির খান এবং কিয়ারা আডবানী (Kiara Advani) অভিনীত একটি ব্যাঙ্কের বিজ্ঞাপন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিয়ে সেরে নবদম্পতি গাড়ি করে ফিরতে ফিরতে আলোচনা করছেন যে বিদায়ের সময় তাঁরা দু’জনেই কাঁদেননি। এরপর দেখানো হয়, চিরাচরিত নিয়ম ভেঙে আমির তাঁর শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে উঠছে। কারণ কিয়ারাকে তাঁর অসুস্থ বাবার দেখাশোনা করতে হবে।
এরপর ফের সমাজের একটি প্রচলিত নিয়ম ভেঙে দেখানো হয়, নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশ প্রথম স্ত্রী নয়, বরং স্বামী করছেন। এরপর একটি ব্যাঙ্কে গিয়ে বলি সুপারস্টার আমির বলেন, ‘শতকের পর শতক ধরে যে পরম্পরাগুলি চলে আসছে, সেগুলি এখনও কেন চলবে? সেই কারণে আমরা ব্যাঙ্কের প্রত্যেকটি নীতিকে প্রশ্ন করি যাতে আপনারা সেরা পরিষেবা পান’।
আমির-কিয়ারার এই বিজ্ঞাপন দেখেই বেজায় চটে গিয়েছে বিবেক-সহ নেটিজেনদের একটি বড় অংশ। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালক সেই বিজ্ঞাপনের ভিডিও টুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমি এটা বুঝতে পারছি না সামাজিক এবং ধার্মিক রীতিগুলিকে পরিবর্তনের দায়ভার ব্যাঙ্কের ওপর কবে গিয়ে পড়ল? আমার মনে হয় এইউ ব্যাঙ্কের উচিত ব্যাঙ্কের দুর্নীতিমূলক সিস্টেমে পরিবর্তন আনার বেশি চেষ্টা করা উচিত। এমন অসভ্যতা করবে তারপর বলবে হিন্দুরা ট্রোল করছে। ইডিয়ট’।
I just fail to understand since when Banks have become responsible for changing social & religious traditions? I think @aubankindia should do activism by changing corrupt banking system.
Aisi bakwaas karte hain fir kehte hain Hindus are trolling. Idiots.pic.twitter.com/cJsNFgchiY— Vivek Ranjan Agnihotri (@vivekagnihotri) October 10, 2022
শুধুমাত্র বিবেকই নন, আমির-কিয়ারার এই বিজ্ঞাপন দেখে চটে গিয়েছে নেটিজেনদের একটি বড় অংশ। হিন্দু বৈবাহিক রীতির অপমান করে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার গুরুতর অভিযোগও উঠেছে। বেশ কয়েকজন নেটিজেন আবার সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বয়কট করারও ডাক তুলেছেন।
একজন নেটাগরিক যেমন লিখেছেন, ‘এইউ ব্যাঙ্ককে বয়কট করার সময় এসে গিয়েছে। আমি আমাদের গ্রুপে বলে দিয়েছি সকল টাকা তুলে নিতে এবং টাকা জমা না দিতে’। আর একজন আবার লিখেছেন, ‘আমি ঠিক করেছি আমার এবং আমার অফিসের অ্যাকাউন্ট এইউ ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেব। শীঘ্রই সেই ছবিও পোস্ট করব’।