গ্রীষ্ম হোক বা শীত-সব মরসুমেই পাহাড়ের (Hill Station) প্রতি এক দুর্বলতা থেকে যায় বাঙালির। গ্রীষ্মের দাবদাহ গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই পাহাড়ের কোলে গিয়ে আশ্রয় নেন। কেউ কেউ আবার শীতের সময়ও সেখানে ছুটে যান। তবে বাঙালির কাছে পাহাড়ে যাওয়ার কথা উঠলেই সবার প্রথমে দার্জিলিংয়ের নামই মাথায় আসে। তবে এই হিল স্টেশন ছাড়ার কলকাতার (Kolkata) কাছাকাছি আরও অনেক সুন্দর সুন্দর পাহাড়ি জায়গা রয়েছে। এমনই একটি জায়গা হল সামসিং (Samsing)।
পাহাড় বলতেই সবাই সেখানে একটু শান্তির খোঁজে যান। এমন অনেকে রয়েছেন যারা ভিড়ে ঠাসা হিল স্টেশনে যেতে একেবারেই পছন্দ করেন না। এই সামসিং জায়গাটি তাঁদের জন্য একেবারে পারফেক্ট। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) এবং দার্জিলিংয়ের সীমান্তে অবস্থিত এই শান্ত-নিরিবিলি শৈল শহরে একবার গেলে জুড়িয়ে যাবে আপনার শরীর মন।
সামসিং নিজের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকদের মধ্যে বেশ বিখ্যাত। সবুজে ঘেরা এই পাহাড়ি গ্রামে একবার গেলে আপনার শরীর এবং মন দুই-ই জুড়িয়ে যাবে। এছাড়া আপনি যদি এখানে ঘুরতে যান এবং আকাশ যদি সেই সময় পরিষ্কার থাকে, তাহলে এখানে বসেই আপনি ভুটানের তুষারে ঢাকা পাহাড়ও দেখতে পাবেন। তবে আকাশে মেঘ থাকলে সেটা হবে না।
জলপাইগুড়ির কাছের এই ছোট্ট গ্রামে দেখার মতো বেশ কিছু জায়গা রয়েছে। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ হল সুন্দর পিকনিক স্পটগুলি। সামসিংয়ে ঘুরতে গেলে সেখানে যাওয়া একপ্রকার মাস্ট। এছাড়াও চা বাগান, পাথরে ভরা হ্রদও তো রয়েছেই।
আরও পড়ুনঃ চোখ খুললেই কাঞ্চনজঙ্ঘা! মাত্র ১০০০ টাকায় ঘুরে আসুন সিনারির মতো এই হিল স্টেশন থেকে
শুধু তাই নয়, সামসিং থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নেওড়া ভ্যালি পার্ক। শোনা যায়, এখানে এত বেশি গাছ রয়েছে যে সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠ অবধি এসে পৌঁছতে পারে না। আপনি যদি প্রকৃতি প্রেমী হয়ে থাকেন এবং ট্রেকিংয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে এই নেওড়া ভ্যালি আপনার জন্য একেবারে পারফেক্ট।
আরও পড়ুনঃ টিপটিপ বৃষ্টি সাথে সবুজ প্রকৃতি, রইল বর্ষাকালে ঘোড়ার মত কলকাতার কাছের ৫ অপূর্ব জায়গার হদিশ
আপনি যদি শিলিগুড়ি থেকে সামসিং যেতে চান তাহলে আপনাকে সেখানে নেমে গাড়ি করে যেতে হবে। এছাড়া সামসিং যাওয়ার জন্য শিলিগুড়ি থেকে বাসও রয়েছে। ৩ ঘণ্টা মতো সময় লাগবে। এছাড়া আপনি ট্রেনে করে জলপাইগুড়ি হয়েও এই গ্রামে যেতে পারেন।