অ্যাডিলেড ওভাল ক্রিকেট টেস্টে (Adelaide Test) ভারতের পরাজয়ের জন্য দায়ী করা হল বিরাট কোহলী (ViraT kohli) – পত্নী অন্তঃসত্ত্বা অনুষ্কা শর্মা (Anushka Sharma) কে। ক্রিকেটের কারণে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবনে যে কতদূর প্রভাব পড়তে পারে, তা বারেবারেই দেখা গিয়েছে ভারতে। যদিও ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমান ঘটনা ছাপিয়ে গেছে সবকিছুকেই। এর আগেও বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতের হারের কারণে দর্শকরা দোষ চাপিয়েছিলেন বিরাট-পত্নী অনুষ্কা শর্মার উপর। সেক্ষেত্রে যথাযথ জবাবও দিয়েছিলেন বিরুষ্কা, কিন্তু সাম্প্রতিক অ্যাডিলেড ওভাল টেস্টে ভারতের লজ্জাজনক হারের কারণে অন্তঃসত্ত্বা অনুষ্কাকে পুনরায় ‘ট্রোল’-এর কেন্দ্রে টেনে নামালেন নেটিজেনরা। স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত খেলোয়াড়রা।
এর আগেও বহুবার স্টেডিয়ামে বিরাটদের ভরসা জোগাতে উপস্থিত থেকেছেন বলিনায়িকা, কিন্তু কোনোভাবে ভারত সেই ম্যাচে হেরে গেলেই দোষ গিয়ে পড়ত অনুষ্কার উপস্থিতির উপর। নেটিজেনরা বারেবারেই বলে এসেছে যে পত্নীর উপস্থিতির জন্যই নাকি খেলায় ‘মনঃসংযোগ’ হারান বিরাট। যদিও এইবারে সেই দুর্নাম ঘোচানোর জন্যই একরকম বিরাট অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘পিতৃত্বকালীন ছুটি’-র আবেদন করেন। আর তার অনুপস্থিতিতেই যেন ভেঙে যায় ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শিরদাঁড়া। একসময়ে ৯/১ থেকে ৩৬/৯-এ পৌঁছে টেস্টে ভারতের সর্বনিম্ন ফলাফলের দিকেও এগোতে থাকে দল। আর তখনই সোশ্যাল মাধ্যমের দেওয়াল ভরে ওঠে বিরাট-অনুষ্কা যুগল বিষয়ক নানাবিধ মিমে।
নেটিজেনদের মতে, বিরাট নাকি দেশের প্রতি নিজের দায়িত্ববোধ ছেড়ে পালিয়েছেন। যদিও ক্রিকেট বোদ্ধাদের মতে, দর্শকদের এও মাথায় রাখতে হবে যে গত কয়েকমাস যাবৎ একটিও ম্যাচ ছাড়েননি বিরাট, ফলে এই সময়ে স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য এ ছুটি তাঁর প্রাপ্য। অন্যদিকে, এসবের কিছুই মানতে নারাজ ‘বোদ্ধা’ নেটিজেনরা। অনেকের মতে, বিরাট দেশে ফেরার জন্যই নাকি তাড়াতাড়ি খেলা শেষ করেছেন! স্বাভাবিকভাবেই নেটিজেনদের এমন অমূলক আচরণে কষ্ট পেয়েছেন বহু আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন খেলোয়াড়। তাঁদের অনেকেই সর্বসমক্ষে বিরাটের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
https://twitter.com/ElGujju/status/1340155135805116417?ref
#viratkholi had already planned to come to India after 1st #INDvsAUSTest for paternity leave so to plan on time he decided to bring #Anushka to finish game ahead of its times & he finished game on 3rd days itself. 😂😁#36AllOut #RaviShastri
— Vishal Sharma (@vss_dolly) December 19, 2020
খেলোয়াড়প্রেমীদের একাংশের মতে, নেটিজেনদের এমন আচরণে স্বাভাবিকভাবেই সকল দর্শকের উপরেই ক্ষুব্ধ হবেন বিরাট, যা একেবারেই কাম্য নয়। অন্যদিকে মনোবিদদের মতে, অনুষ্কা এখন যে শারীরিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে এমন দোষারোপ তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে। পাশাপাশি অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর নানাবিধ চিন্তার মধ্যে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন ভারতীয় ক্যাপ্টেনও। ফলে ট্রোলিংয়ের সীমা পেরিয়ে যাওয়া এইসকল নেটিজেনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তুলেছেন অনেকে। এখন দেখার এই যে দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে ‘সাইবার ট্রোলিং’ বন্ধ করার ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নেন স্বয়ং নেটিজেনরা।