Viral Singer Ranu Mondal Monthly Income: আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন অথচ ভাইরাল (Viral) গার্ল রানাঘাটের রানু মন্ডলকে (Ranu Mondal) চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে। আজ থেকে বছর চারেক আগে রানাঘাটের ৬ নম্বর প্লাটফর্মে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া বিখ্যাত গান গেয়ে, রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছিলেন রানু মন্ডল। একসময় স্টেশনে বসে গান গেয়ে ভিক্ষে করে দিন কাটতো যার সেই রাতারাতি পৌঁছে যান বলিউডে (Bollywood)।
এমনকি সে সময় তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন বলিউডের নাম করা সংগীতশিল্পী হিমেশ রেশমিয়া (Himesh Reshmiya)। তিনিই তাঁকে তাঁর সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগও দিয়েছিলেন। সেসময় হিমেশ রেশমিয়ার সাথে রানু মন্ডলের গাওয়া ‘তেরি মেরি’ (Teri Meri) গান দারুন হিট হয়েছিল। এই গান গেয়েই লাইম লাইটে চলে এসেছিলেন রানাঘাটের বাসিন্দা রানু। নাম জোশ খ্যাতির সাথেই টাকা পয়সাও ভালোই রোজগার করেছিলেন তিনি।
সেবছর গোটা বাংলার এমন কোন পুজো মণ্ডপ ছিল না যেখানে রানু মন্ডলের গাওয়া গান বাজেনি। কিম্বা চায়ের দোকান থেকে পাড়ার পিকনিক সবেতেই বাজতো এই একই গান। কিন্তু কথায় আছে ‘মানুষের অহংকারই তার পতনের কারণ’। এই রানু মন্ডলের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হয়েছিল। স্টেশনে গান গেয়ে ভিক্ষা করে যার দিন দিন কাটতো।
তিনিই যখন চোখের সামনে ঝাঁচকচকে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড দেখেন তখন অহংকারে মাটিতেই আর পা পড়তো না তাঁর।যার ফল এখন ভুগছেন তিনি নিজেই। এখন সেই ভাঙাচোরা একতলা বাড়ি তার সম্বল। একটা সময় তার খারাপ ব্যবহার এবং কটু মন্তব্যই তার আজকের এই পরিণতির কারণ।
এখন রানু মন্ডলের আয় বলতে সেরকম কিছুই নেই। এখন মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জনপ্রিয় ইউটিউবাররা তার বাড়িতে তার সাথে গিয়ে দেখা করে আসেন।কিন্তু এক্ষেত্রে রানু মন্ডলের একটা শর্ত মানতে হয় সবাইকেই। তার সাথে যেই দেখা করতে আসবেন তাকে তার জন্য খাবার নিয়ে আসতে হবে।
রানু মন্ডল এর কথা অনুযায়ী ইউটিউবাররাও তার পছন্দের খাবার নিয়েই দেখা করতে যান তার সাথে। বর্তমানে এই সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশনের দিন এখন কাটছে অভাবের মধ্যেই দিয়েই।