দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছে ‘বিক্রম বেধা’ (Vikram Vedha)। ঋত্বিক রোশন, সইফ আলি খান অভিনীত এই ছবি দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন দর্শকরা। অবশেষে এসে গিয়েছে সেই দিন। কিন্তু বহুপ্রতীক্ষিত এই সিনেমা দেখার পর দর্শকদের একাংশ বেশ ভালো রকমের নিরাশ হয়েছেন। কারণ আশা জানিয়েও ইমপ্রেস করতে ব্যর্থ হয়েছে ঋত্বিক-সইফের ছবি।
রাজা বিক্রমাদিত্য এবং তাঁর কাঁধে চেপে থাকা বেতালের গল্পের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছিল সাউথের ‘বিক্রম বেধা’। অভিনয় করেছিলেন আর মাধবন এবং বিজয় সেতুপতি। সেই ছবিরই একেবারে যথার্থ রিমেক হিন্দি ‘বিক্রম বেধা’।
শুরু থেকে শেষ পুরোটাই এক। সংলাপ থেকে শুরু করে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর সবটুকুই যেন সাউথের ব্লকবাস্টার সিনেমা থেকে টুকে দেওয়া হয়েছে। ছিটেফোঁটাও নতুনত্ব নেই ঋত্বিক-সইফের সিনেমায়। হিন্দি ‘বিক্রম বেধা’র রিভিউ আসলে এক লাইনেই করে দেওয়া যায়। যদি সাউথের ছবিটি দেখে থাকেন, তাহলে এই সিনেমা মোটেই ভালোলাগবে না। আর যদি না দেখে থাকেন তাহলে মুগ্ধ হয়ে যাবেন।
‘বিক্রম বেধা’য় দেখানো হয়েছে একজন পুলিশ অফিসার বিক্রম (সইফ) এবং অপরাধী বেধার (ঋত্বিক) গল্প। সারা লখনউ জুড়ে রয়েছে বেধার আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই ১৬টি খুন করে ফেলেছে সে। অপরদিকে অফিসার বিক্রম ঝটপট ক্রিমিনালদের শেষ করে দেওয়াতেই বিশ্বাসী। ১৮টি এনকাউন্টার করে ফেলেছে বিক্রম। সে নিজের কাজকেই সব সময় ঠিক মনে করে। অনেক সময় এনকাউন্টারগুলিকে ঠিক প্রমাণিত করার জন্য প্রমাণের সঙ্গে কাটাছেঁড়া করতেও পিছপা হয় না সে।
সম্পূর্ণ ছবি জুড়েই রয়েছে বিক্রম এবং বেধা। অভিনয়ের দিক থেকে ঋত্বিকের প্রশংসা প্রাপ্য। যদিও তাঁর মুখে যে আঞ্চলিক ভাষার একটা টান আনা হয়েছে, তা মাঝেমধ্যে খানিক বেমানান লাগে। অপরদিকে সইফকে দেখে ‘সেক্রেড গেমন’এর সরতাজ সিংয়ের কথা মনে পড়ে যাবে।
‘বিক্রম বেধা’র গানের দিক থেকে বলা হলে, এই ছবির হাত ধরেই প্লেব্যাক কেরিয়ার শুরু হয়েছে দুই বাঙালি প্রতিভা স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক এবং অনন্যা চক্রবর্তীর। তাঁদের গলায় এবং ঋত্বিকের নাচে গানটি বেশ সুন্দর হলেও ছবির যে অংশে গানটি রয়েছে, তা যেন কাহিনীকে বাধাপ্রাপ্ত করে। সব মিলিয়ে ভালো মশলা থাকলেও, নতুন কিছু মশলা যোগ করে ‘রান্না’টিকে ‘দুর্দান্ত’ করতে ব্যর্থ হয়েছে পুষ্কর এবং গায়ত্রী।