দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন থালাপতি বিজয় (Thalapathy Vijay)।তার পুরো নাম জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর হলেও ভক্তরা তাকে থালাপতি নামেই বেশি চেনেন। শোনা যায় ভক্তদের কাছে বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের মানুষদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি যে কিংবদন্তি অভিনেতা তথা থালাইভা রজনীকান্তের (Rajinikanth) পর বিজয় থালাপতিকেই সবচেয়ে বড় তারকা বলে মনে করেন সবাই।
ছবিতে তারকা অভিনেতা বিজয়ের উপস্থিতি মানেই সেই ছবি চোখ বুজে সুপারহিট। সাউথের সিনেমাপ্রেমীরা একথা হামেশাই বলে থাকেন। শুধু তাই নয় এমনটাই বিশ্বাস করেন দক্ষিণী সিনেমার তাবড় পরিচালক, প্রযোজকরা। আর এই কারণে পরিচালকরা তাঁর পিছনে মোটা অঙ্কের টাকা ঢালতেও দুবার মাথা ঘামান না। আজ অভিনেতা তাঁর ৪৮ তম জন্মদিন সেলেব্রেশনে ব্যস্ত।
দু দশকের বেশি দীর্ঘ, অভিনয় জীবনে এখনো পর্যন্ত মোট ৬৫ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমাই হল হাউসফুল। সিনেমার মতোই দারুন ফিল্মি অভিনেতার লাভ স্টোরিও (Love Story)। নিজের সাথে দেখা করতে আসা এক অনুরাগীকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে গিয়েছিল বিজয়ের। পরবর্তীতে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং প্রেম থেকেই বিয়ে করে পরিণতি পায় ভালোবাসার সম্পর্ক।
থালাপতি বিজয় হয়তো কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি তাঁর একজন মহিলা ভক্তের সাথে এভাবে বিয়ে করবেন। আসলে পুরো বিষয়টাই ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। সালটা ছিল ১৯৯৬ তখনও বিজয় থালাপাতি হয়ে ওঠেননি। সেসময় তাঁকে তাঁর সিনেমা ‘পাবে উনকগা’ মুক্তির জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা সুদূর লন্ডন থেকে এসেছিলেন এক ভক্ত। এই সিনেনেমাটি সেসময় বিদেশেও হিট হয়েছিল।
আজ তিনিই বিজয়ের স্ত্রী সংগীতা সোর্নালিঙ্গাম (Sangeetha Sornalingam)। সেই সময় সুদূর লন্ডন থেকে একজন ভক্ত তাঁর সাথে দেখা করতে এসেছে শুনেই খুশি হয়ে গিয়েছিলেন বিজয়। তাই তিনি নিজেই সংগীতাকে নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। প্রথম আলাপ থেকেই বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। এরপর একে অপরকে তিন বছর ডেট করার পর ১৯৯৯ সালের ২৫ আগস্ট ধুমধাম করে খ্রিস্টান রীতি মেনেই বিয়ে করেন সংগীতা-বিজয়।