বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী বিদ্যা বালান (Vidya Balan)। তাঁকে চেনেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। বিশেষত তাঁর ‘ডার্টি পিকচার’ ছবির পর থেকে অভিনেত্রী ব্যাপক পপুলার হয়ে পড়েন। অবশ্য এটি ছাড়াও অভিনেত্রী আরো অনেক দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। যার মধ্যে রয়েছে ‘কাহানি’, ‘তুমহারি সুলু’ ইত্যাদির মত ছবি।
অভিনেত্রী নতুন বছরের প্রথম দিনে ৪২শে পা দিয়েছেন। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন গত ১লা জানুয়ারি ছিল অভিনেত্রীর জন্মদিন। আজ তাকে সকলে চিনলেও এক সময় স্ট্রাগল করতে হয়েছিল অভিনেত্রী বিদ্যা বালনকেও। অভিনেত্রী মুম্বাইয়ের এক তামিল পরিবারের মেয়ে। ‘হাম পাঁচ’ সিরিয়াল দিয়ে তিনি প্রথম অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন। এরপর অভিনেত্রী কিছু মালয় ও তামিল ছবিতেও কাজ করেছেন তবে সেখানে সাফল্য পাননি।
নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।অভিনেত্রী এক সময় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে ছিলেন। কারণ কি তিনি এক মালায়লাম চলচিত্রে সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে কোনো কারণে ছবিটির শুটিং মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যায়। তখন অভিনেত্রীকে অনেক খারাপ কথা শুনতে হয়েছিল যেমন, তিনি নাকি অশুভ।
অভিনেত্রীর ওজন বেশি হবার কারণে ‘ও বেবি’ , ‘কিসমত কানেকশান’ ইত্যাদি ছবি তার হাত থেকে চলে গিয়েছিল। সেই সময় খুবই ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে হাল ছাড়েননি। এরপর পরিণীতা ছবিতে অভিনয় করেন বিদ্যা বালন। ছবিতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। তারপর ‘মুন্না ভাই’ ছবিতে অভিনয় করেন বিদ্যা যা সুপার হিট হয়েছিল। সঞ্জয় দত্তের সাথে ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’, অভিষেক বচ্চনের সাথে ‘গুরু’ ও ‘সালামে ইশক’ ছবিতে অভিনেত্রীর অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।
এরপর ২০১১সালে দি ডার্টি পিকচার ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী। যা তার কেরিয়ার গ্রাফকে অনেকটা ওপরে তুলে দেয়। তবে এই ছবিতে অভিনয় যে খুব একটা সোজা ছিল না তা অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন। তবে, ছবিতে রিলিজ হলে তা ব্যাপক হিট হয় ও বিদ্যা বালন এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হন।
ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডেই বিদ্যা তার জীবনসঙ্গী খুঁজে পান। চলচ্চিত্র নির্মাতা সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের সাথে তাঁর দেখা হয় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডেই। এরপর ১৪ ই ডিসেম্বর ২০১২ সালে বিদ্যা ও সিদ্ধার্থ বিয়ে করেন।