বুধবার এবং বৃহস্পতিবার উদযাপন করা হবে ভাইফোঁটা (Bhaiphota)। ভাইদের পঞ্চ ব্যঞ্জন খাওয়ানোর দিন এটি। প্রত্যেক ভাই-বোনের কাছেই এই দিনটি অত্যন্ত বিশেষ। এই একটি দিনের জন্য সারা বছর মুখিয়ে থাকেন বহু ভাই-বোন। তবে আপনি কি জানেন, ভাইফোঁটার মতো এত বিশেষ দিনের আনন্দ থেকে বহু বছর বঞ্চিত থেকে টলিউডের (Tollywood) নামী অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chattopadhyay)।
সাবিত্রীর ১০ বোন থাকলেও, ছিল না কোনও ভাই। ১০ বোনের মধ্যে আবার তিনি ছিলেন সবচেয়ে ছোট। ছোটবেলা থেকে কীভাবে কাটাতেন ভাইফোঁটার এই বিশেষ দিন? ভাই না থাকলেও বোনেদের কি ফোঁটা দিতেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী? সম্প্রতি এক টিভি৯ বাংলার কাছে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবিত্রী নিজেই।
টলিপাড়ার এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি নিজের প্রেম জীবন নিয়ে বরাবর খোলামেলা আলোচনা করেছেন। নিজের ভাগ্য নিয়ে নিজেই ‘মস্করা’ করেছেন বহুবার। তবে এই নামী অভিনেত্রীর কপালেই কোনোদিন নিজের ভাইয়ের ভালোবাসা জোটেনি।
সম্প্রতি এক টিভি৯ বাংলার সঙ্গে আলাপচারিতার সময় সাবিত্রী বলেন, ‘আমাদের আগামীকাল ভাইফোঁটা। কী আর বলব বলুন, আমার তো ভাই-ই নেই। আমরা ১০ বোন এবং আমিই ছিলাম সবার ছোট’। তবে ভাই না থাকায় কোনোদিন মন খারাপ হতো না? জবাবে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের বোনেদের আক্ষেপ হতো না। তবে আমার মায়ের মন খারাপ হতো যে তাঁর ছেলে নেই’।
তবে এখনকার দিনে ভাই না থাকলেও বোনফোঁটা দেন অনেকে। সাবিত্রীরা এমন করতেন? প্রশ্ন শুনেই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের সময় এমন উদ্ভট ব্যাপার ছিল না। এসব কিন্তু আসলে হয় না’। তবে নিজের ভাই না থাকলেও জীবনের এক পর্যায়ে এসে পাতানো ভাই পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। তিনি কি টলিউডেরই কেউ ছিলেন?
এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে টলিপাড়ার নামী অভিনেত্রী বলেন, ‘একজনকে আমি ভাইফোঁটা দিতাম। বহুকাল হয়ে গেল তিনি মারা গিয়েছেন। তবে তিনি এই ইন্ডাস্ট্রির মানুষ ছিলেন না। তাঁরও কোনও বোন ছিল না, আমারও কোনও ভাই ছিল না। সেই জন্য সেই ব্যক্তিকেই ফোঁটা দিতাম’। পাতানো ভাইয়ের কথা বললেও কিন্তু আলাপচারিতার সময় কিন্তু পাতানো ভাইয়ের পরিচয় প্রকাশ করেননি বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।