খবরবিনোদনসিনেমা

অভিনয়ই ধ্যান জ্ঞান, শুটিংয়ে সাপের ছোবল খেয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছিলেন অনামিকা সাহা

৩০ টা সাপের মধ্যে একটা ছোবল মারল, শাড়ি নষ্ট হয়ে গেছিলো, যেটা আজও তোলা আছে!

বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) জনপ্রিয় ভিলেনদের নামের তালিকায় ওপরের দিকেই থাকবে অনামিকা সাহার (Anamika Saha) নাম। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী বহু সুপারহিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন। খলনায়িকার চরিত্রে তাঁর হাড় জ্বালানো অভিনয় দেখে রীতিমতো ভয় ধরে যেত দর্শকদের। বিশেষত, ‘বিন্দু মাসি’ চরিত্রে অনামিকার অভিনয় এখনও অনেকের মনেই গেঁথে রয়েছে। সম্প্রতি এই টলি অভিনেত্রীই শ্যুটিংয়ের সময়কার এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

সত্তরের দশক থেকে অনামিকাকে পর্দায় দেখে আসছেন দর্শকরা। খারাপ ভালো মিশিয়ে প্রায় ৪০টা বছর কাটিয়ে ফেলেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। টলিপাড়ার এই দাপুটে খলনায়িকার ঝুলিতে যেমন রয়েছে একাধিক সুপারহিট ছবি, তেমনই চার দশকে অর্জন করেছেন বহু অভিজ্ঞতাও। সম্প্রতি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত ‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে এমনই একটি বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা শোনান তিনি।

Anamika Saha snake bite experience
অনামিকা সাহা

পর্দার ‘বিন্দু মাসি’ এমন একজন অভিনেত্রী যিনি প্রখ্যাত পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রধানত খলচরিত্রেই অভিনয় করেছেন তিনি। ‘নাচ নাগিনী নাচ’ ছবির শ্যুটিং করতে গিয়েই একটি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন অনামিকা।

সিনেমার নামেই ‘নাগ’ শব্দটির উপস্থিতি দেখে বেশ বুঝে নেওয়া যায় ছবিতে সাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। অনামিকা জানান, এই ছবিতে বিষধর সাপেদের সঙ্গে শ্যুটিং করার সময়ই সাপের ছোবল খেয়েছিলেন তিনি।

Anamika Saha snake bite experience

অনামিকার কথায়, ‘দোতলা বাড়ির সেট ছিল। বারান্দায় সারি দিয়ে ছিল প্রায় ৩০টি সাপ। নীচে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি এবং আমায় ঘিরে ফণা তুলে ছিল সাতটি সাপ। মাঝে ঝাঁটা নিয়ে আমায় নাচতে হচ্ছিল ‘তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত’ গানে। এরই মধ্যে একটা সাপ ছোবল মারে। পা ভাগ্যিস ঢাকা ছিল, সেই জন্য অল্পের ওপর দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলাম। কিন্তু সাপের বিষে আমার শাড়িটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই শাড়ি এখনও আমার সযত্নে তোলা রয়েছে’।

প্রসঙ্গত, টলিপাড়ার এই দাপুটে ভিলেন বেশ কিছুদিন আগে অবধিও ধারাবাহিকে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির পর থেকে এখন অনেকটাই কাজ করা কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। যদিও তাতে অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তায় কিন্তু একটুও আঁচ পড়েনি। এখনও বাঙালি সিনেপ্রেমী মানুষদের মনে বিশেষ স্থান ধরে রেখেছেন অনামিকা।

Back to top button