বলিউডের অন্যতম বিতর্কিত অভিনেতাদের মধ্যে একজন সলমন খান (Salman Khan)। তার অনুরাগী সংখ্যারও যেমন অভাব নেই তেমনই অভাব নেই তাঁর হেটার্সদেরও। এর আগে বহুবার আইনি বিপাকে জড়িয়েছেন ভাইজান। এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠল খুনের অভিযোগ। অভিযোগকারী খোদ ভাইজানের প্রতিবেশী, তার নাম কেতন কক্কর।
অবসরপ্রাপ্ত এই মার্কিন এনআরআই সল্লু ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি এনে জানান নিজের ফার্ম হাউজে নাকি অনামি ফিল্মস্টারদের কবর দিয়ে রেখেছেন সলমন। তার এই আচমকা অভিযোগে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে বিটাউন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কেতন বাবু জানান, সলমন খানের জন্যই তিনি জমি কিনতে পারেননি রায়গড়ের পানাভেলেতে। কারণ তার পছন্দের জমিকে মহারাষ্ট্র সরকার “অবৈধ” বলে বাতিল করেছে। যার জন্য তিনি সলমনের পরিবারকেই দায়ী করেন। তার বাড়তি অভিযোগ সালমান খানই নাকি কেড়ে নেন তাঁর জমি। তবে সলমন ও থেমে থাকার পাত্র নন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে তিনি দায়ের করেছেন মানহানির মামলা।
আইনজীবী প্রদীপ গান্ধীর হাত ধরে মাঠে নেমেছেন ভাইজান। এদিন শুনানিতে কেতনের সাক্ষাৎকারের অনেকটা অংশ পাঠ করেন প্রদীপ। তার দাবি, সলমনের বিরুদ্ধে একাধিক নোংরা অভিযোগ এনেছেন কেতন যা ভিত্তিহীন। শুধু ফিল্মস্টারদের কবর দেওয়ার অভিযোগ নয়, ভাইজানের বিরুদ্ধে শিশুপাচারের অভিযোগও এনেছেন কেতন। এর কারণে সলমনের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে বলেই দাবি আইনজীবীর। তাই তিনি অতি সত্ত্বর ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই ভিডিও তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সলমনও মুখ খুলেছেন ঘটনা নিয়ে, তার মতে কেতনজি নিজের পিঠ বাঁচাতেই তার দিকে আঙুল তুলছেন। সম্মতির মামলায় এমত মিথ্যে বিধ্বস্ত মন্তব্যের কোনো কারণ নেই। সলমন জানিয়েছেন এমনকি ভাইজানের পরিবারকেও এর মধ্যে জড়ানো হচ্ছে। ধর্ম টেনে এনে উনি মামলা থেকে বাঁচতে চান। আমার মা হিন্দু, বাবা মুসলিম, আর ভাই-এরও স্ত্রী হিন্দু। ভাইজান সাফ জানিয়েছেন তার কাছে সব ধর্ম সমান।