ইন্টারনেটের সৌজন্যে বহু ব্যক্তিত্বের ভাগ্য ঘুরেছে। রাতারাতি তারকা হয়ে গিয়েছেন অনেকে। এমনই একজন ব্যক্তিত্ব হলেন বাংলার ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। বীরভূমের বাসিন্দা ভুবনবাবু পেশায় একজন বাদাম বিক্রেতা ছিলেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্য ঘুরে যায় ‘কাঁচা বাদাম’ (Kacha Badam) গানটি ভাইরাল হওয়ার পর।
‘বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম’- এখন প্রায়শয়ই অনেকের মুখে মুখে এই গানটি শোনা যায়। এই গানটির স্রষ্টা হলেন ভুবনবাবু। ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করার সময় এই গানটি গাইতেন তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাতারাতি তারকা হয়ে যান তিনি। এখন বাংলা তো বটেই, গোটা দেশের মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে এই গান।
ভুবনবাবুর গান গেয়েই যেমন রমরমিয়ে ব্যবসা করছেন উত্তর প্রদেশের বাদাম বিক্রেতারা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানেই দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য। প্রত্যেক বছর শীতের মরসুমেই উত্তর প্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বাদাম বিক্রি করতে আসেন বেশ কিছু ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যেই কয়েকজন গিয়েছেন বীরভূমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, বীরভূমের বিভিন্ন স্থানে বাদামের পসরা সাজিয়ে বসেছেন তাঁরা। সকল ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিউড়ি-বোলপুরের রাস্তায় থাকা আজম খান আলাদা করে নজর কেড়েছেন। কারণ তিনি ভুবন বাদ্যকরের জনপ্রিয় ‘কাঁচা বাদাম’ গাইতে গাইতে বাদাম বিক্রি করছিলেন।
আজম একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রত্যেক বছর তাঁরা বীরভূমের সিউড়িতে আসেন। রাজস্থান থেকে কাঁচা বাদাম কেনার পর এখানে তা ভেজে বিক্রি করা হয়। ১০০ গ্রাম বাদামের দাম ২০ টাকা। তবে কেউ যদি এক কিলো নেন, তাহলে সেক্ষেত্রে দাম ১৮০-১৯০ টাকা নেওয়া হয়।
বীরভূমের সিউড়ি শহরে বাদাম বিক্রি করে প্রত্যেক দিন ৫০০-৬০০ টাকা হয় উত্তর প্রদেশের বাদাম বিক্রেতাদের। তবে এই বছর ব্যবসা একটু ধীর গতিতে চলছে বলে জানান তাঁরা। যদিও আশা করছেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ফের রমরমিয়ে চলতে শুরু করবে ব্যবসা। ‘কাঁচা বাদাম’ গেয়ে বাদাম বিক্রি করা প্রসঙ্গে আজম বলেন, বীরভূমের ভুবনের গান এখন সব জায়গায় বাজছে। তাই তাঁরা বীরভূমে এসে যখন বাদাম বিক্রি করছেন তখন ‘কাঁচা বাদাম’ গাইবেন না এমনটা কী হয়!