উত্তম কুমার (Uttam Kumar) মানেই প্রাণ জুড়ানো হাসি, কপালে এসে পড়া অবাধ্য চুল। বাঙালির স্টাইল স্টেটমেন্টের শেষ কথা তিনিই। মৃত্যুর ৪০ বছর পরেও সময় যেন তাঁর সাথেই হাত ধরাধরি করে চলে। অনবদ্য রোম্যান্টিক ইমেজ , মৃত্যুর এত বছর পরেও যার প্রভাব কমেনি ছিটেফোঁটাও। বিখ্যাত এই অভিনেতা কিন্তু দারুন ভোজন রসিক ছিলেন।
আসলে হবেন নাই বা কেন! বাঙালি মানেই তো ভোজন রসিক। আর বাঙালি হওয়ার দরুন ভালো খাবারের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ ছিল মহানায়কের। ভালো মন্দ খাবার আর জম জমাটি আড্ডায় জুড়ি মেলা ভার উত্তম কুমারের। আজ তারই অতন্ত্য প্রিয় একটি রেসিপি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। দুপুরের খাবারের মেনুটাকে স্পেশাল করে তুলতে বানিয়ে নিতেই পারেন এই চিংড়ি পাতুরি (Chingri Paturi)।
সপ্তাহান্তে ছুটির দিন হোক বা সাধারণ দিনের অসাধারণ মেনুই হোক চাইলেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন এই চিংড়ি পাতুরি। আর বংট্রেন্ডের পর্দায় সেই চিংড়ি পাতুরির একেবারে সোজা আর ঘরোয়া রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। তাহলে আর দেরি কিসের ঝটপট রেসিপি দেখে বানিয়ে ফেলুন চিংড়ি পাতুরি।
চিংড়ি পাতুরি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- মাঝারি সাইজের চিংড়ি মাছ
- নারকেল কোড়া
- পোস্ত
- সরষে
- কাঁচালঙ্কা, পাতি লেবুর রস
- নুন, তেল পরিমাণ মত
- কলাপাতা
চিংড়ি পাতুরি তৈরির পদ্ধতিঃ
- সবার আগে চিংড়ি মাছগুলিকে ভালো করে ধুয়ে ও বেছে নিতে হবে।
- এরপর কাঁচালঙ্কা, নারকেল কোড়া আর সরষে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে ফেলুন।
- এবার কড়ায় ২ কাপ জল, সামান্য নুন আর ১ চামচ মত লেবুর রস দিয়ে ফুটতে দিন।
- জল ফুটতে আরম্ভ হলে তাতে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। কিছুক্ষণ রাখার পর চিংড়ি মাছগুলোকে তুলে আলাদা করে রেখে দিন।
- এবার কড়ায় তেল দিয়ে চিংড়ি মাছগুলো ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে সেগুলি আলাদা করে রেখে দিন।
- এবার কলাপাতা পাতুরির মাপে কেটে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। আর কলাপাতার দুদিক গরম করে নিন।
- এরপর কলাপাতায় আগে থেকে ব্লেন্ড করে রাখা পেস্ট ভালো করে মাখিয়ে দিয়ে চিংড়ি দিয়ে দিন, তারপর আবার কিছুটা পেস্ট দিয়ে আধ চামচ সরষের তেল দিয়ে কলাপাতা মুড়ে বেঁধে নিন।
- এবার কড়ায় কিছুটা সরষের তেল দিয়ে পাতুরি গুলো ভাঁপিয়ে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন।
- ব্যাস চিংড়ি পাটুরি একেবারে রেডি। এবার শুধু পাতে পড়ার অপেক্ষা।