সিরিয়াল মানেই দর্শকদের রোজকার বিনোদনের অঙ্গ।আজকাল তাই এই সিরিয়াল ছাড়াএক মুহুর্ত চলে না সিরিয়ালের পোকা দর্শকদের। দর্শকদের বাড়তে থাকা চাহিদার কথা মাথায় রেখে একের পর এক ভিন্ন স্বাদের নিত্যনতুন সিরিয়ালের লাইন লাগিয়ে দিচ্ছে বিনোদনমূলক চ্যানেল গুলি। এই তালিকায় প্রতিনিয়ত একে অপরকে জোর টক্কর দিচ্ছে বাংলার দুই লিডিং এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল স্টার জলসা এবং জি বাংলা।
তবে এখন সময়ের সাথেই বদলেছে দর্শকদের সিরিয়াল দেখার রুচি। এই কারণেই এখন পরকীয়া কিংবা সাংসারিক কূটকচালির মতো একঘেয়ে বস্তাপচা কনসেপ্ট দেখলেই চ্যানেল ঘুরিয়ে দেন দর্শকরা। তাই দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে একেবারে নতুন ধরনের বিষয়বস্তুই দর্শকদের প্রথম পছন্দ। এই কারণেই একেবারে নতুন বাস্তবধর্মী সিরিয়ালের ওপরেই জোর দিচ্ছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
আর এই ধরনের বেশীরভাগ সিরিয়ালেই মূলত নারীকেন্দ্রিক চরিত্রগুলোই বেশী গুরুত্ব পায়। কিছুদিন আগেই জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছে এমনই এক লড়াকু মেয়ে তুবড়ির (Tubri) জীবন সংগ্রামের কাহিনী ‘উড়ন তুবড়ি’ (Uron Tubri)। প্রথম থেকেই এই সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে চপ,কচুরির মত তেলে ভাজার দোকান চালান তুবড়ির মা সাবিত্রী। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী লাবণি সরকার। এছাড়া তুবড়ির আছে এক দিদি আর এক বোন।
সিরিয়ালে ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে তুবড়ির দিদি তোড়ার বিয়ের দিনেই তুবড়ির বিয়ে ঠিক হয়েছে। যেটা আসলে অর্জুনের (Arjun) মা অঞ্জলির কারসাজি। তবে তুবড়ির বিয়ের আগেই সেখানে ছুটতে ছুটতে পৌঁছে যায় অর্জুন। তখনই সত্যি টা সামনে আসার পাশাপাশি নাটকীয় ভাবে বিয়ে হয়ে যায় অর্জুন তুবড়ির। এরপর অর্জুনের হাত ধরে শ্বশুর বাড়ি এসে তুবড়ি বুঝতে পারে অর্জুনও তাকে ঠকিয়েছে।
আসলে বড়লোকদের অহংকার আর বড়লোকি চাল একদম পছন্দ করে না তুবড়ি। তাই তুবড়ি কে পাওয়ার আশায় গরিব সেজে তার মন জয় করেছিল অর্জুন। আর এখন বিয়ের পর সব সত্যি জানার পর মন টাই ভেঙে গিয়েছে তুবড়ির। তাছাড়া অর্জুনের মা অঞ্জলিও অনেক অন্যায় করেছে তুবড়ির সাথে। তাই তুবড়ি ঠিক করে নেয় এই বিয়ে সে মানবে না তাই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পা বাড়ায়। তখনই এসে দাঁড়ায় অর্জুনের কাকাদাদু। তিনি এসে বরণ করতে বলেন তুবড়ি কে। এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।