সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল হল জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ (Ei Poth Jodi Na Sesh Hoi)।এই সিরিয়ালের বয়স বেশিদিন না হলেও, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই দর্শকদের মধ্যে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছে। আর সেই কারণেই টিআরপির দৌড়েও প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলেছে ঊর্মি আর সাত্যকি বাবুর লাভ স্টোরি।
আসলে এই ধারাবাহিকের একমাত্র ইউএসপি হল একান্নবর্তী পরিবারের দুর্দান্ত সমীকরণ। ধারাবাহিকের নায়িকা ঊর্মি বড়লোক বাড়িতে বেশ আভিজাত্য বিলাসিতার সাথে বড় হলেও, মধ্যবিত্ত সংসারে খুব কম দিনেই হেসে খেলে মানিয়ে নিয়েছে। তার বড় মনের পরিচয় বারংবার পেয়েছেন দর্শকেরা। আজকালকার সিরিয়ালগুলোতে কূট কাচালি আর পরকীয়াই যেখানে মুখ্য, সেখানে এই ধারাবাহিক এক্কেবারে অন্য ধাঁচের।
শুরুতে সাত্যকি আর ঊর্মির ভালোবাসায় বারেবারে বাধা হয়ে দাঁড়াত রিনি। ছোট বেলা থেকেই পাড়ার টুকাই দা ওরফে সাত্যকির জন্য মনে মনে ভালো লাগা ছিল রিনির, আর তার জেরেই প্রথম দিকে সাত্যকির বউ হিসেবে ঊর্মিকে মেনে নিতে পারেনি রিনি। আর সেকারণেই সারাক্ষণ ঊর্মিকে জব্দ করতে একেরপর এক ফন্দি আঁটত সে। একেকসময় এই বালখিল্যতার কারণে বড় বড় সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয় মুখার্জি পরিবারকে।
শেষবার ঊর্মিকে নিয়ে ঘুরতে না গিয়ে সাত্যকি রিনির কলেজের ফিস জমা দিতে যাওয়ায় তুলকালাম বাধে। আসলে এই ক্ষেত্রেও রিনিরই দুষ্টু বুদ্ধিই দায়ী। রিনির পরিকল্পনার জন্যেই ফের দূরত্ব তৈরি হয় ঊর্মি সাত্যকির। সাত্যকিকে কার্যত সন্দেহ করতে শুরু করে ঊর্মি। এরপর এই গোটা ঘটনার দায় গিয়ে পড়ে রিনির উপর, ছোট ঠাম্মি পরিবারে শান্তি ফেরাতে রিনিকে বাড়িতে ঢুকতে নিষেধ করে দেন।
আর এর পরেই আঘাত পায় রিনি। ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। ঊর্মিকে রাগী আন্টি সমস্তটা বুঝিয়ে বলাতে, ঊর্মির বোধদয় হয়। অবশেষে তার রক্তেই ফেরে রিনির প্রাণ। তারপর থেকে শত্রুতা ঘুচে রিনি হয়ে ওঠে ঊর্মির বেস্ট ফ্রেন্ড।
সম্প্রতি একটি প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, পরিবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই বাড়ির সকলে মিলে ঊর্মি আর সাত্যকিকে হানিমুনে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তবে ঊর্মির দাবি তো বাড়ির সকলকে নিয়েই হানিমুনে যাবে সে। কিন্তু এই অদ্ভুত কান্ড যে হানিমুনে করতে নেই তা ঊর্মিকে বোঝানো যে বেশ কষ্টসাধ্য তা বুঝেই মুমুকে তাদের সাথে যাওয়ার অনুমতি দেয় ছোট দাদু। কিন্তু ঊর্মির শেষ দাবি, আরেকজনকে লিস্টে অ্যাড করতে হবে। তা হল রিনি। বেস্টফ্রেন্ড রিনিকে ছাড়া সে কিছুতেই হানিমুনে যাবেনা। ঊর্মির এই কথা শুনে রিনির মুখেও নিমেষে ফুটে ওঠে হাসি।