সিরিয়াল মানেই দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের একটি বিষয়। সিরিয়াল প্রেমীদের কাছে দারুন পছন্দের এমনই একটি সিরিয়াল হল ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ (Ei poth Jodi na sesh hoi)। দর্শকদের চাহিদা পূরণে প্রতি সপ্তাহে এই সিরিয়ালে আনা হচ্ছে নিত্যনতুন চমক। আর নতুন বছরের একেবারে শুরুতেই বড়সড় চমক দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই ধারাবাহিক।
এই সিরিয়ালে শুরু থেকেই উর্মি (Urmi)- সাত্যকির (Satyaki) জুটি বেশ জনপ্রিয় দর্শকমহলে। তাই পর্দায় জুটিকে দেখলে এক নিমেষে মন ভালো হয়ে যায় দর্শকদের। কিছুদিন আগেই সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে উর্মির মামনি আর ছোট কাকার ষড়যন্ত্রে মিথ্যা শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেলে গিয়েছে সাত্যকি। এরফলে মান সম্মান নিয়ে টানাটানি শুরু হওয়ায় মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছে সাত্যকি।
তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে সাত্যকির সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার বৌ উর্মি। আর তার বুদ্ধির কাছে হার মেনেছে শহরের দুঁদে উকিলও। সাত্যকি বাবুর জন্য প্রথম বার উকিলের উর্দি গায়ে চাপিয়েই অভিজ্ঞ আইনজীবীর নাকের ডগা দিয়ে জামিন করিয়ে সাত্যকি বাবুকে বাড়ি নিয়ে যায় ঊর্মি। কিন্তু উর্মির মামনি আর ওই উকিলও হাত গুটিয়ে বসে থাকার মানুষ নন।
তাই সমস্ত উকিলদের ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়েও শান্তি পাননি তারা। এরপর উর্মিকে আটকাতে, গুন্ডা দিয়ে তাকে প্রমাণ জোগাড় করার এবং আদালতে সাক্ষী দেওয়ার টোপ দিয়ে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়ে একটা বন্ধ ঘরে আটকে রাখা হয় উর্মিকে।
অন্যদিকে আদালতে শুনানির সময় চলে যাচ্ছে। উর্মি না আসায় শেষ পর্যন্ত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন বিচারক। অন্যদিকে পালানোয় এক্সপার্ট উর্মি কিছুতেই বুঝতে পারছে না সে করে পালিয়ে বাঁচবে। তখন মনে মনে মনে সাত্যকিবাবুকে ভাবে উর্মি। এরপরেই উর্মির মাথায় পালানোর আইডিয়া চলে আসে।