পর্দায় যখন তিনি আসতেন দর্শকদের গা জ্বলে উঠত। এত্ত দুষ্টুমি, শয়তানি দেখে কখনও কখনও মনে হত সামনে পেলে মেরেই ফেলবেন তাকে। কথা হচ্ছে, জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ এর রিনি অর্থাৎ মিশমি দাসকে নিয়ে। আসলে যেকোনোও খল চরিত্র সফল তখনই হয় যখন তাকে পর্দায় দেখে মানুষ ঘেন্না করতে শুরু করে, রিনির ক্ষেত্রেও এটাই হয়েছিল। এত দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য নেটিজেনরা তাকে জুন আন্টি তকমাও দিয়েছিল।
ধারাবাহিকে সাত্যকি আর ঊর্মির ভালোবাসায় বারেবারে বাধা হয়ে দাঁড়াত রিনি। ছোট বেলা থেকেই পাড়ার টুকাই দা ওরফে সাত্যকির জন্য মনে মনে ভালো লাগা ছিল রিনির, আর তার জেরেই প্রথম দিকে সাত্যকির বউ হিসেবে ঊর্মিকে মেনে নিতে পারেনি রিনি। আর সেকারণেই সারাক্ষণ ঊর্মিকে জব্দ করতে একেরপর এক ফন্দি আঁটত সে। একেকসময় এই বালখিল্যতার কারণে বড় বড় সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয় মুখার্জি পরিবারকে।
প্রথম দিকে রিনির এই দুষ্টুমি ছোট খাটো ক্ষতি করলেও পরে বিরাট বিরাট কান্ড ঘটাতে শুরু করে সে। এখন পর্দায় রীতিমতো লড়াই চলছে ঊর্মি আর রিনির মধ্যে। আর সব গল্পে যেমন নায়িকারই জয় হয় তেমনই এক্ষেত্রেও রিনির মুখোশ টেনে খুলে দিয়ে ফের সকলের ভালোবাসা জিতে নেয় ঊর্মিই। আর রিনির জন্য দর্শকদের একটাই বক্তব্য থাকে, “ঠিক হয়েছে”।
কিন্তু এবার সত্যি সত্যি রিনি চলে যাওয়ায় সত্যি সত্যিই মন খারাপ দর্শকদের। মিশমি আগেই জানিয়েছিলেন কিছুদিনের জন্য ছোট পর্দা থেকে বিরতি নিতে চান তিনি। রিনি এবং টিনা দুই চরিত্র থেকেই। নিজেকে সময় দিতেই এই সিদ্ধান্ত তার।
তবে তার চলে যাওয়ায় দর্শকদের মতোই ভেঙে পড়েছেন ঊর্মিও। আর শ্যুটিং এর শেষ দিনে প্রিয় বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতেও দেখা যায় তাকে। ক্যাপশনে এই ভিডিও শেয়ার করে ঊর্মি ওরফে অন্বেষা লিখেছেন, ” চলার পথে আবার দেখা হবে। ”
View this post on Instagram