বাংলা টেলিভিশন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন সোনালী চৌধুরী (Sonali Chaudhury)। দর্শকদের কাছে আজও তিনি পরিচিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অগ্নপরীক্ষা’-র অপর্ণা হিসাবেই। ২০০৯ থেকে ২০১৪ টানা ৫ বছর টিভির পর্দায় চলেছিল এই ধারাবাহিক। আজ জনপ্রিয় এই টিভি অভিনেত্রীর জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে আজবং ট্রেন্ডের পাতায় থাকলো অভিনেত্রীর সম্পর্কে বেশ কিছু অজানা কথা।
বাংলা ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে এই অভিনেত্রী মা হয়েছেন কিছুদিন আগেই। তাই প্রথমবার জীবনে মাতৃত্বের স্বাদ উপভোগ করাটা আর পাঁচ জন মায়ের মত তার কাছেও ছিল ভীষণ মিষ্টি একটা অনুভূতি। টানা অভিনয় করার পর মা হওয়ার সুবাদে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে টানা ২ বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন সোনালী। দু’বছর পর জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বোধিসত্ত্বর বোধবুদ্ধি’ (Bodhiswatter Bodh budhi) র হাত ধরে ছোটপর্দায় কাম ব্যাক করেছিলেন সোনালী।
যদিও তার আগে প্রথম স্টার জলসার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র হাত ধরে মা হওয়ার পর প্রথম ক্যামেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এপ্রসঙ্গে একবার আনন্দবাজার অনলাইনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন মা হওয়ার পর প্রথমবার ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে সে সময় তাঁর ওজন ছিল ৭২ কেজি। এমনিতেই গর্ভাবস্থার পর প্রত্যেক মায়ের শরীরেই একটা পরিবর্তন আসে। ব্যতিক্রম ছিলেন না সোনালীও।
বহুদিন পর টেলিভিশনের পর্দায় তাকে দেখে সেসময় নাকি অনেকেই তাকে বলেছিলেন ‘সোনালী একটু রোগা হও’। কিন্তু সেই সময় রোগা হওয়াটা তার পক্ষে অতটাও সহজ ছিল না। কারণ তার বাড়িতে একজন সদ্যোজাত শিশু ছিল যার বয়স তখন এক বছরও হয়নি। তাই স্বাভাবিকভাবেই শরীরের নানা রকম পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সোনালীর কথায় ‘এটা একমাত্র অভিনেত্রীরাই বুঝবেন। একটা অপারেশন, সন্তানকে সময় দেওয়া, সবকিছুর পর নিজের ওজন নিয়ে ভাবার মতো মানসিক অবস্থাই থাকে না’।
প্রসঙ্গত সিরিয়ালের মত বাস্তব জীবনেও সোনালী একজন মা। তাই বাস্তব জীবনের মতই তিনি চেষ্টা করেন পর্দায় তার নিজের চরিত্রটিকেও খুব সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তোলার। সবমিলিয়ে ঘরে বাইরে দুদিকেই বাচ্চা সামলানোর সময়টা চুটিয়ে উপভোগ করেন অভিনেত্রী। তবেএকথাও ঠিক একটা সময় ছিল যখন তিনি ভাবতেন মায়ের চরিত্রে তিনি অভিনয় করবেন না। তবে এখন নিজের মা হওয়ার পর তার ধারণাটা বেশ কিছুটা হলেও পাল্টেছে।
তবে একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে নিজের অভিনয় জীবনে শুরু থেকেই একের পর এক ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে চলেছেন সোনালী। কিন্তু এখনকার দিনে নেতিবাচক চরিত্রদের ডিমান্ড বেশি। কিন্তু সোনালীর খলনায়িকা চরিত্রে অভিনয় করার খুব একটা ইচ্ছা নেই। কারণ তিনি মনে করেন এই ধরনের চরিত্র মনের উপর ভীষণভাবে চাপ ফেলে। তবে জীবনে একবার হলেও এক নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা তার রয়েছে।