ছোট পর্দা হোক কিংবা বড়পর্দা (Big Screen) বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম একজন পরিচিত অভিনেত্রী হলেন মৌসুমী সাহা (Mousumi Saha)। ১৯৮৯ সালে তরুণ মজুমদারের সিনেমা (Cinema) ‘আপন আমার আপন’ সিনেমার হাত ধরেই প্রথম অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় এই প্রবীণ অভিনেত্রীর। সেই থেকে আজ পর্যন্ত দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর পার করে ফেলেছেন তিনি ।
এরপর মাঝে কেটে যায় ৭ বছর। সেই সময়টায় তিনি চুটিয়ে অভিনয় করেছিলেন থিয়েটারে। পরবর্তীতে আবার ফায়ার আসেন ১৯৯৬ সালে। অন্যদিকে বাংলার কালজয়ী ধারাবাহিক ‘জন্মভূমি’র হাত ধরে প্রথম তিনি পা রাখেন ছোটপর্দায়। এই ধারাবাহিকে তিনি অভিনয় করেছিলেন জমিদারের ছোটগিন্নির চরিত্রে। প্রায় ১৪০০ এপিসোড-এ অভিনয় করেছিলেন তিনি।
তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সুযোগ এসেছে একের পর এক অভিনয়ের। কিন্তু একঘেয়ে সিরিয়াল করে ক্লান্তি আসায় মাঝে বিরতি নিয়েছিলেন ৩ বছরের। তবে ছোট পর্দা হোক কিংবা বড়পর্দা বেশিরভাগ সময় নায়ক-নায়িকার মায়ের চরিত্রে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ছোট পর্দার খোকাবাবু আর গঙ্গা রামের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে।
বড়পর্দাতেও অভিনয় করেছেন দেব কিংবা অঙ্কুশের মতো সুপারস্টারদের মায়ের চরিত্রেও। তাই সিরিয়াল হোক কিংবা সিনেমা সবেতেই নায়ক নায়িকার মায়ের চরিত্রে একেবারে পারফেক্ট মৌসুমী সাহা। প্রসঙ্গত ইন্ডাস্ট্রিতে তার সম্পর্কে একটা প্রচলিত মিথ (Myth) আছে। বলা হয় মৌসুমী সাহার হাতে যে নবাগতা অভিনেতা চড় (slap) খেয়েছেন পরবর্তীতে তিনি সুপারস্টার হয়েছেন ।
তবে অভিনয় করলেও বরাবরই কিন্তু নিজের সংসারের রাশটা নিজের হাতেই শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন অভিনেত্রী। নিজের কাজ সবসময়ই নিজে করতে ভালোবসেন তিনি। ইদানিং জি বাংলার ‘গৌরী এলো’ সিরিয়ালে গৌরির ছোট ঠাম্মার চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাকে। সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল টলি ফোকাস কলকাতায় খোলামেলা আলোচনায় বসেছিলেন অভিনেত্রী।
সেখানে তিনি জানান অভাবের সংসারে ছোট থেকে তাঁরা তিন বোন কিভাবে প্রচন্ড অর্থকষ্টে বড় হয়েছেন। এছাড়া অভিনয়ে দক্ষ অভিনেত্রী জানান এখনকার দিনের নতুন প্রজন্মের অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাথে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা কেমন। সেইসাথে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মৌসুমী জানান এখনকার মিডিয়া হাইপ তা এতটাই বেশি যে এখনকার ছোট ছেলেমেয়েদের জনপ্রিয়তা পেতে আগের মতো অতটাও মেহনত করতে হয়না।