রবিবার সুরে সুরেই সম্পূর্ণ হল ‘সারেগামাপা’র (SaReGaMaPa) সফর। গত বছর জুন মাসে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২১ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল এই রিয়্যালিটি শোয়ের সফর। অবশেষে রবিবার শেষ হল সেই পথচলা। দীর্ঘ কয়েকমাসের লড়াই শেষে বিজেতার শিরোপা উঠল নিউটাউনের অস্মিতা কর (Ashmita Kar) এবং লক্ষ্মীকান্তপুরের পদ্মপলাশ হালদারের (Padma Palash Halder) মাথায়।
‘সারেগামাপা’ ২০২২’এর যুগ্ম বিজেতা পদ্মপলাশ কীর্তনিয়া হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এলাকার কীর্তন বাড়ির ছেলে হিসেবেই নামডাক রয়েছে তাঁর। প্রতিভাবান এই সঙ্গীতশিল্পীর বাড়িতে কেউ কখনও চাকরি অথবা ব্যবসা করেননি। পদ্মপলাশের ঠাকুরদাঁ প্রথম তাঁদের পরিবারে কীর্তন গান গাওয়ার প্রচলন করে। এরপর থেকে তিন পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারে শুধুমাত্র কীর্তন এবং কবিগান গাওয়ার চল রয়েছে। এটিই তাঁদের জীবিকা।
জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চেও পদ্মপলাশ মূলত তাঁর কীর্তন গান গাওয়ার প্রতিভাই তুলে ধরেছিলেন। ২০১৫ সালে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছ থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন তিনি। যদিও রিয়্যালিটি শোয়ের সম্পূর্ণ সিজনে শুধুমাত্র কীর্তনই নয়, নানান ধরণের গান গেয়েই প্রত্যেককে মুগ্ধ করেছেন পদ্মপলাশ।
অপরদিকে ‘সারেগামাপা’র যুগ্ম বিজেতা অস্মিতা কলকাতার বাসিন্দা। ছোট থেকেই গানের প্রতি ভালোবাসা তাঁর। একাধিক গুরুর কাছে তালিম নিয়েছেন। সদ্যসমাপ্ত এই রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে বাংলা এবং হিন্দিতে একাধিক গান শুনিয়ে প্রত্যেককে মুগ্ধ করেছিলেন তিনি।
অস্মিতার কথায়, তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হলেন তাঁর মা। অপরদিকে প্রিয় গায়িকা হলেন সুনিধি চৌহান। কারণ তিনি অত্যন্ত ভার্সেটাইল। সব ধরণের গান গাইতে পারেন। ‘সারেগামাপা’র বিজেতা অস্মিতাও ভবিষ্যতে তাঁর মতোই হতে চান।
বিজয়ী হওয়ার পর যখন অস্মিতাকে নিজের অনুভূতির সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হয় তখন তিনি বলেন, সে সময় বিজেতা হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল সেই মুহূর্তটা কোনও দিন ভুলতে পারবেন না। মা, দাদা এবং বৌদির সামনে বিজেতার খেতাব জিতেছেন তিনি। অপরদিকে তাঁর বাবা বাড়িতে থেকে মেয়ের জন্য প্রার্থনা করছিলেন। অপরদিকে পদ্মপলাশ বলেন, বিচারক এবং দর্শকদের সামনে গান গাওয়ার এই সুযোগ পেয়ে তিনি ধন্য।