প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) কে সবাই এক ডাকে চেনেন। কারো কাছে তিনি বুম্বাদা তো কারো কাছে তিনি টলিউডের (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রি নামে পরিচিত। বলতে গেলে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ তিনি। ‘মেঘে মেঘে বেলা কম হলনা’! তাই দেখতে দেখতে আজ অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর জন্মদিনে (Birthday) পায়ে পায়ে তিনি এসে পৌঁছেছেন ৬০ বছর বয়সে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে তাঁর গ্ল্যামার। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনুরাগীদের সংখ্যা। বিগত কয়েক দশক ধরে তাঁর অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ আপামর বাংলার দর্শক। যা তাঁকে দিনে দিনে বাংলার দর্শকদের ‘কাছের মানুষ’ করে তুলেছে। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি উপহার দিয়েছেন একের পর এক সুপারহিট সব সিনেমা। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ আপামর বাঙালি।
এমনিতেই প্রিয় তারকাদের জীবনের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে দর্শকদের জানার কৌতূহলের সীমানা নেই। আর নামটা যখন প্রসেনজিৎ তখন সেই কৌতূহল তখন আরও বেশীই আকাশছোঁয়া। প্রিয় অভিনেতার জন্মদিনে তার অনুরাগীদের জন্য আজ বং ট্রেন্ডের পাতায় থাকছে তাঁর সম্পর্কে এমনই কিছু অজানা তথ্য (Unknown Facts)। অনেকেই হয়তো জানেন না ঘোড়ায় চড়ার দারুন উৎসাহ রয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-এর।
তাই একটা সময় হর্স রাইডিং এর প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া অভিনয়ের পাশাপাশি রয়েছে তাঁর আরও একটি বিশেষ গুণ। মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই ড্রাম বাজানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। ‘তুফান মেলোডি’ নামে একটা ব্যান্ডের সঙ্গেও একসময় যুক্ত ছিলেন তিনি। অনেকেই হয়তো জানলে অবাক হবেন বাংলার এই জনপ্রিয় তারকা একটা সময় সুযোগ পেয়েছিলেন বলিউডে অভিনয় করার।
জানা যায় একটা সময় বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘সাজন’ এবং ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-র মত সিনেমার প্রস্তাব এসেছিল তার কাছে। কিন্তু সেসময় তিনি বাংলা ছেড়ে গেলে এখানকার প্রযোজকদের বিপুল ক্ষতি হয়ে যেত তাই সুযোগ পেয়েও একসময় বলিউডে যাওয়ার প্রস্তাব ফিরেছিলেন তিনি। বলিউডে প্রসেনজিৎ প্রথম ডেভিড ধাওয়ানের পরিচালনায় অভিনয় করেছিলেন ‘আঁধিয়া’ সিনেমায়। প্রসঙ্গত অনেক ছোট বয়স থেকেই শিশু শিল্পী হিসাবে অভিনয় জগতে হাতে খড়ি হয়েছিল প্রসেনজিতের।
১৯৭০ সালে বাংলার কিংবদন্তি অভিনেতা তথা মহানায়ক উত্তম কুমারের ‘দুই পৃথিবী’ ছবিতে উত্তম কুমারের ছোটবেলায় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অনেকেই হয়তো জানেন না একটা সময় ‘চারমূর্তির গোয়েন্দাগিরি’ নামক শ্রুতি নাটকে টেনিদার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। প্রসেনজিতের প্রিয় জায়গা স্কর্টল্যান্ড এবং তিনি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন থাইল্যান্ডের খাবার খেতে। জানা যায় একটা সময় ছিল যখন ৯০ এর দশকে বছরে ২৫টি ছবির জন্য সই করেছিলেন প্রসেনজিৎ।