বাংলা বিনোদন জগতের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন অঙ্কিতা চক্রবর্তী (Ankita Chakraborty)। সিনেমা-ওয়েব সিরিজের পাশাপাশি অঙ্কিতা দাপিয়ে অভিনয় করেছেন বাংলা সিরিয়ালেও (Bengali Serial)। স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘ইষ্টিকুটুম’য়ের (Ishtikutum) কমলিকা চরিত্রের হাত ধরেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অঙ্কিতা।
এই মুহূর্তে তাঁকে দেখা যাচ্ছে কালার্স বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইন্দ্রানী’তে (Indrani)। অন্যদিকে সামনেই মুক্তি পেতে চলেছে অঙ্কিতা অভিনীত আসন্ন ওয়েব সিরিজ সেভেন। এই ওয়েব সিরিজটির পরিচালনা করেছেন অঞ্জন দত্ত। ওয়েব সিরিজটি মুক্তির আগে সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন এটি অঞ্জন দত্তের সাথে তার ষষ্ঠ কাজ।
এদিনের সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী কথায় কথায় জানিয়েছেন বরাবরই তিনি খুবই হাসিখুশি থাকেন। অঙ্কিতার কথায় ‘আমার হাতে কাজ থাকলেও যেমন আমি খুশি থাকি। তেমনি না থাকলেও কোন দুঃখ থাকে না। কারণ কাজ ছাড়াও জীবনে অনেক কিছুই করার আছে’। প্রসঙ্গত দেখতে দেখতে বিনোদন জগতে দীর্ঘ ১৭ বছর পার করে ফেলেছেন অভিনেত্রী।
তবে অঙ্কিতার অভিনয়ের শুরুটা নাকি হয়েছিল থিয়েটার দিয়েই। অঙ্কিতা জানিয়েছেন আগুনের বর্ণমালা বলে একটি শো করতেন তিনি। এরপর অফার পেলেও বাড়ির লোকের আপত্তির কারণে অভিনয় আসেননি তিনি। তবে কেরিয়ারের শুরুর দিকে প্রথম ১০ বছর তিনি অভিনয়টাকে সেইভাবে গুরুত্ব দেননি বলেই জানান অভিনেত্রী।
পরবর্তীতে ইষ্টি কুটুম সিরিয়ালে তার চরিত্র বিপুল জনপ্রিয়তা পেলে সেই থেকে নিজের কেরিয়ার নিয়ে ভাবা শুরু করেন অঙ্কিতা। পরবর্তীতে তিনি দামিনী বেনী বসুর কাছে অভিনয় শিখেছিলেন। এরপর ব্যক্তিগত জীবনের কথা ভাগ করে নিয়ে অঙ্কিতা জানান শেখার সময়টা তার জীবনে তোলপাড় চলছিল। আসলে অভিনেত্রী সেসময় ভেবেছিলেন কলকাতার পাশাপাশি কাজ করবেন মুম্বাইতেও। কিন্তু দুই শহরে কাজ করতে গিয়ে ভেঙে যায় অঙ্কিতার ৯ বছরের সম্পর্ক।
আর তারপরেই নাকি ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অঙ্কিতার কথায় ‘৫-৬ বার নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টাও করি। তখন আমার ওজন কমে ৪২ কেজি হয়ে গিয়েছিল। থেরাপি নিতে হতো। আমি নিজের মধ্যে ছিলাম না তখন’। তবে এসবের মধ্যে লকডাউন হয়ে শাপে বর হয়েছিল অঙ্কিতার। অভিনেত্রীর কথায় ‘এই সময়টা আমার জীবনকে ঘুরিয়ে দেয়।’
তবে সেসব অতীত। এখন স্বামী প্রান্তিকের সাথে অঙ্কিতার সুখী গৃহকোণ। প্রান্তিক প্রসঙ্গে অঙ্কিতা বলেছেন, ‘প্রান্তিক আমার জীবনের একটা বিশ্বাস। আমার সঙ্গে ও গোটা সময়টা ছিল। আমি ওকে এতদিন যেভাবে পেয়েছি সেভাবেই পেতে চাই। স্বামী তকমা দিয়ে দূরে সরিয়ে রাখতে চাই না।’