আট থেকে আশি,উচ্চতায় লম্বা হতে কে না চায়! কিন্তু চাইলেই তো আর সব ইচ্ছা পূরণ হয় না। কারণ শারীরিকভাবে মানুষের লম্বা কিংবা বেঁটে হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ জিনগত। তাই জিনগত কারণেই কারও উচ্চতা বেশি হয় আর কারও উচ্চতা কম হয়ে থাকে। এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো মতভেদ নেই। তবে গোটা পরিবারের সকল সদস্যই অস্বাভাবিক রকম লম্বা এমন উদাহরণ কিন্তু খুবই কম চোখে পড়ে।
আমাদের দেশেই আছে এমন এক পরিবার, যে পরিবারে বাবা, মা থেকে সন্তান সবার উচ্চতা এতটাই বেশি যে তারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন না। আসুন তাহলে পরিচয় করে নেওয়া যাক আমাদের দেশের এই সবচেয়ে লম্বা পরিবারের সদস্যদের সাথে। আদতে মহারাষ্ট্রের পুণের বাসিন্দা এই কুলকার্নি পরিবারের কর্তার নাম সরোদ কুলকর্ণী (Sharad Kulkarni) এবং তাঁর স্ত্রী হলেন সঞ্জত কুলকর্ণী (Sanjot Kulkarni)।
জানা যায় সরোদ কুলকর্ণীর উচ্চতা প্রায় ৭ ফুট ১.৫ ইঞ্চি এবং তার স্ত্রী সঞ্জত কুলকর্ণীর উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট ২.৫ ইঞ্চি। ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বরে বিয়ের পর ১৯৮৯ সালে বিশ্বের সবথেকে উচ্চতাসম্পন্ন জুটি হিসেবে লিমকা বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠেছিল তাদের। জানা যায় বর্তমানে পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মী সরোদ কুলকর্ণী কিশোর বয়স থেকেই লম্বা উচ্চতার কারণে স্পোর্টসেও জয়েন করেছিলেন।
উল্লেখ্য সরোদের স্ত্রী সঞ্জত জানান আমাদের দেশে মেয়েদের উচ্চতা অত্যাধিক বেশী হলে অনেক মুশকিলে পড়তে হয়। তবে প্রথম থেকেই তার ইচ্ছা ছিল নিজের থেকে বেশি উচ্চতার ছেলেকেই তিনি বিয়ে করবেন। একথা মনে রেখেছিলেন সঞ্জতের দিদা। মুম্বাইয়ের রাস্তায় একদিন তারই চোখে পড়ে যান সরোদ। আর তাকে দেখা মাত্রই তার কাছে গিয়ে সরাসরি নাতনির বিয়ের প্রস্তাব দেন ওই মহিলা।
প্রথমে পাত্তা না দিলেও বন্ধুর কথায় ৬ ফুট উচ্চতার ওই মহিলার থেকে ফোন নম্বর চেয়ে নেন সরোদ। এরপর দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তার পর সঞ্জতকে দেখতে যান সরোদ। আর প্রথম দেখাতেই বিশেষ করে সঞ্জতের উচ্চতা দেখে সরোদ তখনই ঠিক করে নেন ওই মেয়েকেই তিনি বিয়ে করবেন। বর্তমানে তাঁদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তারাও বাবা মায়ের মতো লম্বা হয়েছেন।
বড় মেয়ে মুরুগা কুলকর্ণীর (Mruga Kulkarni) উচ্চতা হল ৬ ফুট ১ ইঞ্চি এবং ছোট কন্যা সানিয়া কুলকর্ণীর (Sania Kulkarni) উচ্চতা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি। আর তাদের দুজনেরই স্বপ্ন মডেলিং করার। তবে উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে তাঁরা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন না। তাই তাঁদের বেশিরভাগ সময়ে পায়ে হেঁটে বা নিজেদের স্কুটিতে যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয় তাদের পোশাক থেকে জুতো সবই ইউরোপীয় দেশ থেকে। এছাড়া তাদের বাড়ির দরজা-জানালা ৬-৮ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট।