বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন সোহিনী সান্যাল (Sohini Sanyal)। ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রায় দু দশক ধরে এই পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন অভিনেত্রী। সদ্য স্টার জলসার পর্দায় শেষ হয়েছে তাঁর অভিনিত্ব ‘মনফাগুন; সিরিয়াল। আর এখন তাকে দেখা যাচ্ছে ‘গাঁটছড়া’ (Gantchora) সিরিয়ালে নায়ক কুনালের মায়ের চরিত্রে।
সম্প্রতি টলি ফোকাস ইউ টিউব চ্যানেলে খোলামেলা আড্ডায় অভিনেত্রী জানিয়েছেন তবে অভিনয় জীবন শুরু হওয়ার আগে নাচই ছিল তার প্রথম ভালবাসা। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে খুব অল্প বয়স থেকেই কখনও টিউশন পরিয়ে আবার কখনো নাচ শিখিয়ে উপার্জন করতে শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে তাড়াতাড়ি উপার্জনের আশায় একটা সময় মডেলিংও শুরু করেছিলেন তিনি। আসলে খুব অল্প বয়সেই অভিনেত্রী যখন ক্লাস ফাইভ এর ছাত্রী সে সময় ব্লাড ক্যান্সারে মারা গিয়েছিলেন তার বাবা।
সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে অভিনয় জীবনের মতই বর্ণময় তার বাস্তব জীবন। জীবনের নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজ তিনি অভিনয় জগতের প্রতিষ্ঠিত একজন অভিনেত্রী। কথায় আছে ‘আজ যে রাজা কাল সে ফকির’! এই কথাটা সাথে ভীষণ মিল সোহিনীর। এই কারণেই একটা সময় সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো সোহিনীর দিন কেটেছে সেদ্ধ ভাত খেয়ে।
পরবর্তীতে নিজের নিজের ক্ষমতায় শূন্য থেকে শুরু করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না অভিনয়ের পাশাপাশি আরো একটা প্যাশন রয়েছে অভিনেত্রীর। চারপাশে ঘটে চলা ঘটনার কারণ জানার ইচ্ছা থেকেই একটা সময় তিনি ভূত-প্রেত আত্মা ব্ল্যাক ম্যাজিক এসব নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। এখনো পর্যন্ত ঈশ্বর বিশ্বাসী সোহিনী এসব নানান অজানা অলৌকিক ঘটনা সম্পর্কে রীতিমতো পড়াশোনা করেন।
তাঁর এই আত্মা নিয়ে পড়াশোনার কথা জানতে পেরে একসময় তাকে ভয় পেতে শুরু করেন অনেকে।পিছনে অনেকে অনেক কথাও বলতো। এমনকি অনেকে ভয় পেয়ে তাকে এক ঘরে পর্যন্ত করে দিয়েছিল একটা সময়। সেসময় ভয়তে অনেকেই মেকআপ রুমেতার সাথে বসত না পর্যন্ত। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে যারা একসময় একঘরে করে দিয়েছিল এখন তারাই নিজেদের সমস্যার জন্য ছুটে আসেন সোহিনীর কাছে।