বাংলা বিনোদন জগতের একজন অভিজ্ঞ অভিনেত্রী হলেন মিঠু চক্রবর্তী (Mithu Chakraborty)। অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর স্ত্রী। দেখতে গেলে এই অভিনেত্রীর গোটা পরিবারটাই যুক্ত অভিনয়ের সাথে। স্বামী থেকে শুরু করে দুই ছেলে এবং বউমাও পর্যন্ত যুক্ত এই একই পেশায়। তবে অভিনয়ের সাথেই স্বামী সন্তান এবং নাতনি নিয়ে ভরা এখন সংসার তাঁর।
তাছাড়া খুব তাড়াতাড়ি এই অভিনেত্রীর পরিবারে আসতে চলেছেন আরও একজন ক্ষুদে সদস্য। আসলে অভিনেত্রীর বড় ছেলে গৌরবের স্ত্রী ঋদ্ধিমা খুব তাড়াতাড়ি মা হতে চলেছেন। বর্তমানে অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তীকে দর্শক দেখছেন স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ সিরিয়ালে নায়ক শঙ্করের মা মহেশ্বরী দেবীর চরিত্রে।
দেখতে দেখতে সম্প্রতি অভিনয় জীবন থেকে শুরু করে নিজের ব্যক্তিগত জীবন একাধিক বিষয় নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে ৩০ তা বছর পার করে ফেলেছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের দীর্ঘদিনের এই অভিনয় জীবন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সাথে এক খোলামেলা আড্ডায় বসে ছিলেন এই অভিনেত্রী।
মজার বিষয় হল এই অভিনেত্রী যখন তাঁর অভিনয়ের সফর শুরু করেছিলেন সেসময় বেশিরভাগ অভিনেত্রীরাই বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দিতেন। কিন্তু মিঠু চক্রবর্তী উল্টে বিয়ের পরেই শুরু করেছিলেন অভিনয়। এদিনের সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন এখন তিনি অভিনয় করারআগে নাকি বেশ কিছু শর্ত দিয়ে থাকেন। প্রথমত শুটিংয়ের লোকেশন হতে হবে বাড়ির কাছে, দ্বিতীয়ত ঘুরতে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ছুটি চাই। তৃতীয়ত চরিত্রটি যেন একেবারে যথাযথ হয়।
প্রসঙ্গত অভিনেত্রী দুই ছেলে গৌরব-অর্জুন এখন বিয়ের পর আলাদাই থাকেন। তারা দুজনেই নিজের নিজের আলাদা ফ্ল্যাটে থাকেন। পর্দায় মহেশ্বরী চরিত্রে অভিনয় করারজন্য মাঝে মধ্যেই চোখে জল দেখা যায় অভিনেত্রী। তবে সেটা নাকি গ্লিসারিনের কান্না নয়। অভিনেত্রীর কথায় ‘এখনও পর্যন্ত গ্লিসারিন প্রয়োজন হয়নি। আমি এমনিই কেঁদে ফেলি। গ্লিসারিনে চোখ লাল হয়ে খুব কষ্ট হয়।
আর নিজে থেকে কাঁদলে তা পর্দায় দেখতে ভাল লাগে।’ তাছাড়া অভিনেত্রী জানান তিনি নিজেও খুব ইমোশনাল। তাই এই অভিনয়টা নাকি তাঁর খুব সহজাত ভাবেই এসে যায়।পর্দার ইসমার্ট মেয়ে ঐশানির শ্বাশুড়ি বাস্তবে ভালো শ্বাশুড়ি হওয়ার জন্য কোন গুণ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন? জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী বলেন ‘এটার কোনও লিখিত নিয়ম নেই। শ্বাশুড়ি হলে এটা করবেন, এটা করবেন না।
জীবনে যেমন পরিস্থিতি আসবে তেমন ভাবে মানিয়ে নেবেন। আমি ভাল শাশুড়ি হওয়ার জন্য কিন্তু কখনও কিছু করি না।’প্রসঙ্গত অভিনেত্রীর দুই ছেলে বৌমাই এখন আলাদা সংসার পেতেছেন। তারা ১০ দিনে এক বার করে আসার চেষ্টা করে। এপ্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন ‘ছেলেরা যখন অনেক ছোট, তখনই বলেছিলাম, যদি দেখো আলাদা থাকার ক্ষমতা আছে, তবেই বিয়ে করবে। দু’জনেই কথা রেখেছে। এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল। ওরা খুশি আমার সিদ্ধান্তে।’