এই মুহূর্তে জি বাংলার (Zee Bangla) অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। এই সিরিয়ালের নায়ক নায়িকা সৃজন-পর্ণা (Srijan-Parna) অল্পদিনেই দর্শকমহলে অত্যন্ত পছন্দের একটি জুটি হয়ে উঠেছেন। সাংসারিক কূটকচালি কিংবা শাশুড়ি বৌমার ঝগড়া থেকে ইদানিং বাংলা সিরিয়াল গুলি যখন বেরিয়ে আসতে চাইছে তখন খানিকটা স্রোতের বিপরীতে হেঁটেই এই দুই বিষয়কেই হাতিয়ার করে একেবারে রোজকার জীবনের পারিবারিক অশান্তির বাস্তব চিত্রটাই তুলে ধরা হয়েছে দত্ত বাড়ির নিম ফুলের মধু সিরিয়ালের মধ্য দিয়ে।
তাই এই ধারাবাহিকে একদিকে যেমন বাবুর মা কৃষ্ণার মত রক্ষণশীল মানুষ রয়েছেন তেমনি আগেকার যুগের মানুষ হয়েও সে দিক দিয়ে অনেক বেশি বিচক্ষণ মানুষ হিসাবে দর্শকদের অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছেন সৃজনের ঠাম্মা হেমনলিনী দেবী। এছাড়াও এই ধারাবাহিকের দর্শকদের নজর কেড়েছে একাধিক পার্শ্ব চরিত্র। বিশেষ করে পর্ণার ননদ বর্ষা (Barsha) চরিত্রের অভিনেত্রী শৈলী ভট্টাচার্যের (Shaili Bhattcharjee) অভিনয় দাগ কেটেছে এই সিরিয়ালের দর্শকদের মনে।
সিরিয়ালটির নিয়মিত দর্শকরা জানেন টিভির পর্দায় বর্ষা সবসময় তার বৌদি ভাইয়ের রক্ষাকবচ। সারাক্ষণ বৌদি ভাইয়ের ভালো-মন্দ দেখে রাখার দায়িত্ব তার। আসলে ছোট থেকেই বর্ষা বড় হয়েছে বাড়ির পুরুষ শাসিত পরিবেশের মধ্যে দিয়ে। তাই সেখানে তার কাছে বৌদিভাই পর্ণা একেবারে খোলা আকাশের মত। যার কাছে গিয়ে সে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারে কিংবা প্রাণ খুলে দুটো কথা বলতে পারে।পর্দার এই বর্ষার সাথে বাস্তব জীবনে কতখানি মিল রয়েছে শৈলীর? সে সম্পর্কেই সম্প্রতি টলিউড ফোকাস কলকাতা নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী।
সেখানে তিনি জানিয়েছেন সিরিয়ালে বর্ষা যে ধরনের শান্ত স্বভাবের মেয়ে বাস্তব জীবনে তিনি একেবারেই তার উল্টো। সিরিয়ালে সারাক্ষণ অবহেলার মধ্যে বড় হলেও বাড়ির এক বাস্তব জীবনে বাড়ির একমাত্র মেয়ে হওয়ায় ভীষণ আদর যত্নে বড় হয়েছেন অভিনেত্রী। এদিন অভিনেত্রীর কথায় জানা যায় এই পেশায় খুব ছোটবেলা থেকেই হাতেখড়ি হয়েছে তাঁর। তবে জনপ্রিয় একটি ওয়েব সিরিজ ‘শব চরিত্র’ এ অভিনয় করেই দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন শৈলী।
বিশেষ করে এই ওয়েব সিরিজের একটি দৃশ্য মাঝেমধ্যে ভাইরাল হয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার জন্য নাকি অভিনেত্রীকে একসময় খুব গালাগালিও দিয়েছিলেন দর্শক। এমনকি লোকজন নাকি বাংলাদেশ থেকেও ফোন করে তাকে কথা শোনাতেন। আর আজ তিনিই বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়ালের সেরা ননদ। এমনটা বলছেন দর্শকরা নিজেরাই। প্রসঙ্গত নিয়মিত দর্শকরা সকলেই জানেন নিজের মা কিংবা দাদার বিরুদ্ধে গিয়েও বর্ষা মাঝেমধ্যেই তার আদরের বৌদি ভাইকে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।
সম্প্রতি তেমনই সৃজনের সাথে তিন্নির বিয়ে ব্যবস্থা করা হলে সে সময় বর্ষা ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল পর্ণাকে। যা দেখার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের একটা বড় অংশ দাবি করছেন এই বর্ষা সেরা ননদ হওয়ার দাবি রাখে। আর এই ভাবেই নিজের সাবলীল অভিনয় গুণে শৈলী নিজেই দর্শকদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন। তাই একসময় যে চরিত্র করে দর্শকদের কাছে গালাগালি শুনেছিলেন আজ একেবারে তার উল্টো ধরনের চরিত্র করে দর্শকদের ভালোবাসা আদায় করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।