বাংলা বিনোদন জগতের একজন অন্যতম পরিচিত অভিনেতা হলেন সপ্তর্ষি মৌলিক (Saptarshi Moulik)। সপ্তর্ষি মানেই বেশিরভাগ দর্শক বোঝেন মঞ্চ নাটক। আসলে সিরিয়ালে অভিনয়ের অনেক আগেই থিয়েটারের সাথে যুক্ত সপ্তর্ষি। নান্দীকার নাট্যমঞ্চের সাথে যুক্ত সপ্তর্ষি। নাটকের মঞ্চ থেকেই তার সাথে পরিচয় হয়েছিল অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্তের।
জানা যায় জনপ্রিয় ‘নাচনি’ নাটকের সূত্র ধরে পরিচয় হয়েছিল তাদের। ২০১৩ সালের প্রথম দেখাতেই নাকি সোহিনী অর্থাৎ ছোট পর্দার পুটু পিসিকে ভালো লেগে গিয়েছিল অভিনেতার। তারপর মাত্র তিন মাস প্রেম করার পরেই ২০১৩ সালের আগস্টে তড়িঘড়ি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছিলেন তারা। যদিও বয়সে অনেকটাই বড় অভিনেত্রীকে বিয়ে করার জন্য সেসময় নানান কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
প্রসঙ্গত সামনেই পুজো। এখন থেকেই পুজোর জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছেন সব্বাই। শেষ মুহূর্তের শপিং থেকে শুরু করে প্ল্যানিং সবকিছু নিয়ে এখন সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি সকলে তালিকায় রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সপ্তর্ষিম মৌলিকও। সম্প্রতি পুজোর পুরনো স্মৃতি থেকে, পুজো প্রেম নানান বিষয়ে খোলামেলা আড্ডায় আনন্দবাজার অনলাইনে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন অভিনেতা।
আদতে উত্তর পাড়ার বাসিন্দা অভিনেতা সেখানে জানিয়েছেন একমাত্র পুজোর সময়েই কলকাতায় আসর ছাড়পত্র পেতেন তিনি। ছোটবেলায় কোয়েট স্কুলে পড়াশোনা করতেন তিনি। তাই সারা বছর বান্ধবীদের স্কুল ইউনিফর্মে দেখলেও পুজোর দিনে দেখছেন তারা হঠাৎ করে সুন্দরী হয়ে গিয়েছেন। অভিনেতা জানিয়েছেন তার মধ্যে সেই প্রেমিক ব্যাপারটা নেই যার জন্য স্ত্রী সোহিনীর সাথে ঝগড়াও হয় তার।
তবে সপ্তর্ষি জানিয়েছেন তিনি কাউকে ভেবে তার জন্য কবিতা লিখতে ভালোবাসেন। বিয়ের আগে লেখা এমন অনেক কবিতা আছে যা তিনি সোহিনীকে পড়ে শুনিয়েছেন। প্রত্যেক বছর পুজো এলেই তিনি অপেক্ষায় থাকেন নবমীর জন্য। কারণ ওই দিনটাই মঞ্চস্থ হয় তার কোনো না কোনো নাটক। আর এই নাটকের জন্য জন্য আগে থেকেই নিজেকে হাসি মজা সব কিছু থেকে দূরে রাখেন তিনি।
আসলে একবার তাকে তার স্ত্রী সোহিনী বলেছিলেন একজন ভালো অভিনেতা হতে গেলে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। এই কথাটাই তার মনে একেবারে গেঁথে গিয়েছে। যা তিনি সবসময় মেনে চলেন। তবে গোটা পুজোটা কলকাতায় বসে ঢাকের আওয়াজ শুনে কাটিয়ে দিলেও নবমীর নাটকের পর উত্তরপাড়ায় গিয়ে দশমিটা নিজের পরিবারের সাথেই কাটান অভিনেতা। প্রসঙ্গত নবমীতে এবছর তিনি যে নাটকটি করতে চলেছেন তা আসলে প্রয়াত অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অর্থাৎ সপ্তর্ষির শাশুড়ি মায়ের লেখা।