বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অভিনেতা-অভিনেত্রীর সংখ্যা খুবই কমই রয়েছে,যারা ছোট পর্দার পাশাপাশি দাপিয়ে অভিনয় করছেন বড় পর্দাতেও। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এমনই একজন পর্দা কাঁপানো অভিনেত্রী হলেন সকলের প্রিয় অপাদি অর্থাৎ জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aprajita Adya)। এখন আপাতত প্রতিদিন ছোটপর্দার দর্শকদের কাছে তিনি লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার নামেই পরিচিত।
প্রতিদিন ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে আটটা বাজতেই ফুল অন এনার্জি নিয়ে টিভির পর্দায় দেখা মেলে লক্ষী কাকিমা সুপারস্টারের (Lokhikakima Superstar)। প্রসঙ্গত পর্দার এই লক্ষী কাকিমার মতোই বাস্তব জীবনেও অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপনেই অভ্যস্ত অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। শুধু তাই নয় নিজের সাবলীল অভিনয় দক্ষতার জেরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তথাকথিত নায়িকা হওয়ার মিথ।
বর্তমানে অভিনেত্রী বয়স ৪৪ বছর। কিন্তু এই বয়সেও তার কাছে বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা। তাই এই বয়সে এসেও সমানভাবে তিনি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বড় পর্দা থেকে ছোট পর্দা সর্বত্র। প্রসঙ্গত এমনিতে বলিউড হোক কিংবা টলিউড সিনেমা জগতের সুন্দরী কথাটার একটা নির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে। তাই অভিনেত্রী মানেই খানিকটা প্রচলিত ধারণার বশবর্তী হয়েই সকলের মনে ভেসে ওঠে ‘ছিপ ছিপে মেদহীন ফিগারের (Figure) কোন অভিনেত্রীর চেহারার ছবি ‘।
যার সাথে একেবারেই মিল নেই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর। বরং তুলনামূলকভাবে প্রথম থেকেই তিনি একটু গোলুমোলু চেহারার। কিন্তু নিজের চেহারার জন্য কখনো পিছিয়ে পড়তে হয়নি অভিনেত্রীকে। তাই এই বয়সে এসেও আজও বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ব্যস্ততম অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি একজন। তাই অনেকেই জানতে চান তার জীবনের আদর্শ সম্পর্কে।
এপ্রসঙ্গে একবার এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন তার যদি মনে হয় তিনি নিজের ফিগারের কারণে নিজের সেরাটা দিতে পারছেন না তাহলে তিনি রোগা হয়ে যেতেন। কারণ লকডাউনেই নাকি তিনি নিজের ১০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু তিনি তা করবেন না কারণ তার জীবনের মূল মন্ত্রণ হলো নিজের শর্তে বাঁচা। তাঁর জীবনের আদর্শ অন্য কারোর পছন্দ নয় নিজের মনের মতো করে বাঁচা। অভিনেত্রীর কথায় ‘আমি নিজের পছন্দে বাঁচি। তুমি আমাকে নিলে ভালো না নিলে আরো ভালো’।