সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোলিং (Social Media Trolling) নতুন কিছু নয়, বহুদিন ধরেই চলে আসছে এই প্রথা। সম্প্রতি জি বাংলার উমা সিরিয়াল (Uma Serial) নেটিজেনদের ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েছে। দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই সিরিয়াল, শুরু থেকেই রয়েছে টিআরপি লিস্টের প্রথমের দিকে। তবে এবার সিরিয়ালের নতুন প্রমো ভিডিও সামনে আসতেই শুরু হয়েছে ট্রোলিং। কারণ প্রোমোতে যা দেখানো হয়েছে তা দকেহে একপ্রকার হেসেই ফেলেছে নেটিজেনরা।
সিরিয়ালে আলিয়া অনেক আটকাতে চাইলেও অভিমন্যু আর উমার বিয়ে আটকাতে পারেনি। আর এবার উমা-অভিমন্যুর জীবন অতিষ্ট করতে উঠে পরে লেগেছে সে। উমার জন্য ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে আলিয়া। সেই চ্যালেঞ্জের ভিডিওই শেয়ার করা হয়েছে চ্যানেলের পক্ষ থেকে। সেখানে রীতিমত অগ্নিপরীক্ষা দিতে দকেহা যাচ্ছে উমাকে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আলিয়া উমাকে গোলাকার আগুনের মধ্যে ঘিরে রেখেছে। আর তার খেলা শেষ করে দেবার কথা বলছে। যদিও যে আগুনের বৃত্তটি দেখা যাচ্ছে সেটা খুব একটা যে বড়সড় তা নয়। চাইলে যে কেউ সেটা খুব সহজেই হেটে বা হালকা লাফ মেরে বেরিয়ে আসতেই পারে। কিন্তু সিরিয়ালে ওই আগুন দেখিয়েই উমাকে একেবারে অসহায়ের মত দেখানো হয়েছে।
এরপর উমা সাহস করে শাড়িটা কিছুটা তুলে লাফিয়ে পেরিয়েছে আগুনের বৃত্ত। এই প্রমো ভিডিও নেটপাড়ায় ভাইরাল হতেই রীতিমত হেসে গড়াগড়ি খেয়েছেন নেটিজেনরা। ভিডিও দেখে এক ব্যক্তির মন্তব্য, ‘ওইটুক আগুনের মধ্যে দিয়ে তো হেঁটেই চলে যাওয়া যায়, এত ভয় পাওয়ার কি আছে?’ তো আরেকজন লিখেছেন, ‘ওরে বাবারে বিশাল আগুন আমার খুব ভয় লাগছে’।
এখানেই শেষ নয়! এক জন বলেছেন, ‘ ভাই এগুলো বানায় কি করে?” কেউ বুঝিয়ে বললেন, “যদি লাফ দিতে গিয়ে পুড়ে যেত তাই, কি ভয়ঙ্কর আগুন রে ভাই…!’ এসব মন্তয়ের পাশাপাশি সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট রাইটারকেও বলতে বাকি রাখেনি নেটিজেনরা। চিত্রনাট্যকারের প্রতি নিজেদের ক্ষোভ উগরে একজন লিখেছেন, ‘এই সমস্ত উল্টোপাল্টা ভাবনা আপনাদের মাথায় কি করে আসে বলুন তো! নারীকেন্দ্রিক ধারাবাহিক বানাতে গিয়ে নারী নির্যাতন দেখাচ্ছেন আপনারা সেগুলো বোঝেন! মানে ক্রিকেটে স্বজনপোষণ দেখতে গিয়ে এইসব স্ক্রিপ্ট কেউ লিখতে পারে! স্ক্রিপ্ট রাইটার দাদা বা দিদি, আপনি আগে আপনার মানসিক চিকিৎসা করান!!! অসহ্য”।
প্রসঙ্গত, এইসমস্ত অভিযোগের পাশাপাশি অনেকের বক্তব্য, ‘উমা’ সিরিয়াল কৃষ্ণকলি এর নকল করছে। কিছুদিন আগে অভিমন্যু ও উমার ফুলশয্যার পর্ব নিয়ে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘সেই কৃষ্ণকলি কাহিনীর কপিরাইট করেছেন কেন, এই গুরুদেব এসব কি হচ্ছে আপনাদের কাহিনীতে খেলা নিয়ে দেখালেন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখাচ্ছেন একটু ভালো কাহিনী দেখান মানুষ তাহলে বসে দেখবে, একই কপি সেই দেখাচ্ছেন’।