বলিউডে নেপোটিজম (Bollywood Nepotism) বা স্বজনপোষণ নিয়ে সময় সময়ে বহুবার বিতর্ক হয়েছে। সুপারস্টারের ছেলে মেয়েরা অনায়াসে ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ পেয়ে যায়। অথচ নতুন প্রতিভাশীল অভিনেতা অভিনেত্রীরা সুযোগ পান না। এই নিয়ে বিতর্ক আজকের নয়, বহু দিন ধরেই এই বিতর্ক চলে আসছে। তবে আজ বংট্রেন্ডের পর্দায় আপনাদের এমন কিছু অভিনেতাদের কথা জানাবো যারা সুপারস্টারের সন্তান হয়েও বলিউডে নিজেদের কেরিয়ার তৈরীতে ব্যর্থ হয়েছেন।
হার্মান বাভেজা (Harman Baweja) : বিখ্যাত বলিউডের পরিচালক হ্যারি বাভেজার ছেলে হার্মান বাভেজা। বাবা পরিচালক হওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন বলিউডে দুর্দান্ত কেরিয়ার তৈরি হয় যাবে। তাছাড়া দেখতে অনেকটাই সুপারস্টার হৃত্বিক রোশনের মত হওয়ায় এক্সপেকটেশন হাই ছিল। কিন্তু একাধিক ছবি করেও বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যার্থ হন হার্মান। তার ছবিগুলি হল, লাভ স্টোরি ২০৫০, হোয়াটস ইওর রাশি, ভিক্টোরি ইত্যাদি ।
ফারদিন খান (Fardeen Khan) : বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা ফিরোজ খানের পুত্র ফারদিন খান। অভিনেতা ১৯৮৮ সালে প্রথম বলিউডে পা রাখেন ‘ প্রেম আগন ‘ ছবি দিয়ে। এরপর প্যার তুনে ক্যা কিয়া, জঙ্গলী ইত্যাদি ছবিটিও অভিনয় করেন। কিন্তু কোনো ছবিতেই সেভাবে সফলতা মেলেনি। এরপর একপ্রকার ডুবে যায় অভিনেতার বলিউডের কেরিয়ার।
সুরজ পাঞ্চোলি (Sooraj Pancholi) : বিটাউনের অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলি। ২০১৫ সালে ‘হিরো’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন অভিনেতা। ছবির প্রযোজক ও পরিচালক ছিলেন সালমান খান। কিন্তু ছবিটি সেভাবে সফলতা পাইনি। এরপর থেকেই তাঁর নাম গুজব প্রচলিত হতে থাকে। যার ফলে আর ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে পারেননি অভিনেতা।
উদয় চোপড়া (Uday Chopra) : হৃত্বিক রোশনের ধুম ছবি মনে আছে নিশ্চয় সকলের। ছবিতে অভিষেক বচ্চন যার বাইকে চেপে ঋত্বিকের পিছনে তারা করেছিল সেই অভিনেতার নাম উদয় চোপড়া। অবশ্য অভিনেতার আরো একটা পরিচয় রয়েছে। বিখ্যাত ফিল্ম পরিচালক যশ চোপড়ার ছেলে তিনি। কিন্তু বাবা বিখ্যাত পরিচালক হলেও বলিউড ইন্ডাস্ট্রির হিরো হয় উঠতে পারেননি অভিনেতা। সুপারস্টারদের ভিড়ে তার অভিনয় দর্শকদের মন কাড়তে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে অভিনয়ের থেকে দূরেই রয়েছেন অভিনেতা।
মহাক্ষয় চক্রবর্তী (Mahaakshay Chakraborty) : বিখ্যাত টলিউড তথা বলিউড অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বড় ছেলে মহক্ষয় চক্রবর্তী। বাবা সুপারস্টার হওয়ায় অনেকেরই প্রত্যাশা ছিল ছেলেও নায়ক হবে, কিন্তু সেটা হয়নি। ২০০৮ সালে প্রথম টলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন মিঠুনপুত্র। ‘জিমি’ ছিল প্রথম ছবি, কিন্তু সেটা ফ্লপ হয়। তারপর থেকেই কেরিয়ারের উন্নতির বদলে অবনতি হতে থাকে।