বাংলার (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ছাড়া পাওয়া রাক্ষসী’ (Unleashed Monster) বলার ফল হাতেনাতে পেলেন বলিতারকা কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘ক্যুইন’-র (Queen) অ্যাকাউন্ট ‘ব্যান’ করল ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ।
তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ‘গুন্ডা’ (Gundai) বলার পাশাপাশি অবিলম্বে বঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন কঙ্গনা। পাশাপাশি মমতাকে থামানোর জন্য রণভূমিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেত্রী! যদিও সুদূর মুম্বই থেকে বঙ্গভূমির অবস্থা আঁচ করে কীভাবে এমন দাবি তুলছেন অভিনেত্রী, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে আমজনতার একাংশ।
এই প্রথম নয়। এর আগেও বিরূপ মন্তব্যের জন্য ট্যুইটার ব্যানের (Ban) সম্মুখীন হয়েছেন কঙ্গনা। আমাজন প্রাইম ভিডিওর (Amazon Prime Video) ওয়েব সিরিজ ‘তান্ডব’ (Tandav) নিয়ে যখন শোরগোল পড়ে দেশ জুড়ে, তখন ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত’ দেওয়ার অপরাধে তান্ডব-নির্মাতাদের ‘মাথা কেটে নেওয়ার’ নিদান দেন কঙ্গনা!
ট্যুইটারে (Twitter) ব্যান হলেও ইনস্টাগ্রামে (Instagram) থেমে থাকেননি কঙ্গনা। বীরভূমের (Birbhum) নানুরের একটি ঘটনাকে তুলে ধরে কঙ্গনার বক্তব্য ‘বাংলায় গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে’। নানুরের (Nanur) ওই ঘটনার সত্যতা ঘিরে একাধিক প্রশ্ন থাকার পরেও এহেন সাম্প্রদায়িক পোস্ট করে নেটিজেনদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে। স্বভাবতই সোশ্যাল সাইটের (Social Site) নিয়মভঙ্গের অভিযোগে ব্যান করা হয়েছে বলিতারকার হ্যান্ডেল। অন্যদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত আলোচনা চলছে সামাজিক মাধ্যমে। সোশ্যাল টাইমলাইন (Timeline) ভরে গিয়েছে নানাবিধ মিমে (Meme)।