বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) হোক কিম্বা সিনেমা বিনোদন জগতের সাথে যুক্ত অভিনেতা অভিনেত্রীদের অভিনয়ের পাশাপাশি উপার্জনের একটা বড় অংশ আসে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন মাচা অনুষ্ঠান থেকে। তাই তারকাদের জীবনে আগের মতোই এই একটা বিষয় কিন্তু একই রয়ে গিয়েছে। তাই সিনেমা,সিরিয়াল,ওয়েব সিরিজ কিংবা বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি একটা মোটা অংকের পারিশ্রমিক কিন্তু সকলেই পেয়ে থাকেন এই মাচা (Macha) করেই।
সম্প্রতি তেমনই খানাকুলের একটি কালীপুজোয় ডাক পেয়েছিলেন বাংলা বিনোদন জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুকমা রায় (Rooqma Ray)। টেলিভিশনের পর্দায় এই অভিনেত্রীকে শেষবার দেখা গিয়েছে জি বাংলার ‘লালকুঠি’ সিরিয়ালে। এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর ইতিমধ্যে একটি ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করে ফেলেছিলেন রূকমা।
তবে সম্প্রতি এই মাচা শো করতে গিয়েই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছিলেন এই টেলি অভিনেত্রী। জানা যায় এদিন রুকমা সময় মতো পৌঁছালেও গ্রামের সরু রাস্তা দিয়ে মঞ্চ পর্যন্ত বড়ো গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই ছোট গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন রুকমা।
এরপর পুরো বিষয়টি জানা মাত্র নিজে থেকেই রুকমার সাথে কথা বলতে আসেন কালীপুজো কমিটির প্রধান। তিনি এসেই নাকি সরাসরি অভিনেত্রীকে তাঁর বাইকে বসে মঞ্চ পর্যন্ত যাওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবে বিশেষ স্বচ্ছন্দ বোধ করেননি অভিনেত্রী। তাই তিনি নিজেই তাঁর দেহরক্ষী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে হেঁটে মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন।
এপ্রসঙ্গে নিউজ ১৮ বাংলায় রুকমা জানিয়েছেন ‘ওই লোকটিকে আমি চিনি না। একজন অচেনা ব্যক্তির বাইকে বসাটা আমার ঠিক বলে মনে হয়নি। তা-ও উনি আমাকে ওঁর বাইকে বসতে বলেন। কিন্তু আমি তাতে রাজি হই না। আমার দেহরক্ষী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে হেঁটেই মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছই।’
এখানেই শেষ নয় এরপর অভিনেত্রী মঞ্চে উঠে কয়েকটি গান গাওয়ার পর অনুরাগীরা সেলফি তোলার জন্য মঞ্চে ভিড় জমান। কিন্তু রুকমা শর্ত দেন একটি ফোনেই সব ছবি তুলতে হবে। আর ঠিক তখনই আবার ধেয়ে আসেন কমিটির সেই প্রধান। আর অভিনেত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি মেজাজ নিয়ে বলতে শুরু করেন, ‘এটা আপনার ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনের জায়গা নয়। আমি আপনাকে টাকা দিয়ে এনেছি। তাই গাইতে এসেছেন। এখনই স্টেজ থেকে নেমে যান।’
কিন্তু তারপরেও বেশ কিছুক্ষণ ব্যাকস্টেজে অপেক্ষা করেছিলেন রুকমা। তিনি ভেবেছিলেন, ভুল বোঝাবুঝি মিটে গেলেই আবার অনুষ্ঠান শুরু হবে। কিন্তু তা তো হয়নি উল্টেতিনি যখন লোকটিকে তাঁর দুর্ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন তখন লোকটি নাকি ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা রুকমাকে নাকি মুখের ওপর সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। তাই রুকমা জানিয়েছেন ‘আমি এতই অসম্মানিত বোধ করি যে সেখান থেকে চলে আসি।’