বাংলা টিভি সিরিয়ালের ভালো মেয়ে ঈপ্সিতা মুখার্জী (Ipshita Mukherjee)-। খুব ছোট বয়স থেকেই টিভির পর্দায় যাত্রা শুরু হয়েছে তার। সুবর্ণলতা সিরিয়ালে সুবর্ণ চরিত্রে সেই ছোট্ট ঈপ্সিতার অভিনয় আজও চোখে লেগে রয়েছে দর্শকদের। সেদিনের সেই ছোট্ট সুবর্ণই আজ কারও কাছে কমলিনী তো কারও কাছে বুবলু।
আসলে ঈপ্সিতাকে এখন দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার দুটি জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘এক্কা দোক্কা’ এবং ‘ধূলোকণা’য়। লীনা গাঙ্গুলীর লেখা দুটি সিরিয়ালেই দুরকম চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন ঈপ্সিতা। একদিকে ধূলোকণার কমলিনী যতটা শান্তশিষ্ট অন্যদিকে ‘এক্কা দোক্কা’র বুবলু ততটাই চঞ্চল। আসলে এই বুবলু চরিত্রটি পজিটিভ নাকি নেগেটিভ তা নিয়ে যথেষ্ট ধন্দে রয়েছেন দর্শকরাও।
আর এই কারণেই পার্শ্ব চরিত্র হয়েও ‘এক্কা দোক্কা’র বুবলু শুরু থেকেই নজর কেড়েছে দর্শকদের। এ তো গেল ছোটপর্দার কথা। তবে সম্প্রতি ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা'(Prosenjit Weds Rituparna) সিনেমার হাত ধরে বড়পর্দায় ডেবিউ করেই নতুন করেই শিরোনামে উঠে এসেছেন ঈপ্সিতা। বাংলা সিনেমার নায়িকা অথচ ছকে বাঁধা ছিপছিপে মেদহীন চেহারার ধার ধরে না ঈপ্সিতা। তিনি নতুন করে প্রমাণ করেছেন অভিনয় করতে গেলে ওজন কিংবা মোটা চেহারা কখনই বাধা হতে পারে না।
তার মানে এই নয় যে ঈপ্সিতা রোগ হওয়ার চেষ্টা করেন না। কিন্তু সামনে ভালো খাবার থাকলে তিনি আর নিজেকে সামলাতে পারে না। তাই জানলে হয়তো অবাক হবেন অনেকেই প্রসেনজিতের সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে ঈপ্সিতার এই গোলুমলু চেহারাই ‘শাপে বর’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।শুধু তাই নয় সম্প্রতি টিভি নাইন বাংলার সাথে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন এই সিনেমার জন্য নাকি তাকে আরও ১০ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছিল।
তাই যারা মনে করেন মোটা চেহারা অভিনেত্রীদের জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করতে ঈপ্সিতা হলেন প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ। প্রসঙ্গত সদ্য বড়পর্দায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণায় ঈপ্সিতার চরিত্রের নাম হয়েছে ঋতুপর্ণা।আর ছোট থেকেই সে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীর (Prosenjit Chatterjee) ফ্যান। এমনকি বিয়েতে তার একমাত্র শর্ত বরের ডাক নাম হতে হবে বুম্বা আর ভালো নাম প্রসেনজিৎ। এই নিয়েও এগোবে সিনেমার গল্প।