জমিয়ে পেটপুজো আর ঘুরতে যাওয়ার (Travel) প্রতি বাঙালির অমোঘ আকর্ষণের কথা কারোর অজানা নয়। আর একথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই, ঘোরার জন্য শীতের (Winter) চেয়ে ভালো মরসুম খুব কমই রয়েছে। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা শীতকালে ট্রাভেল করতে ভীষণ পছন্দ করেন। আজ তাই আপনার জন্য শীতকালে ঘোরার মতো একটি দুর্দান্ত অফবিট গ্রামের (Offbeat Location) খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা।
আজকের প্রতিবেদন আমরা যে স্থানের হদিশ দেবো, তার নাম হল ফিক্কালে গাঁও (Fikkalay Gaon)। উত্তরবঙ্গের অগুনতি অফবিট গ্রামগুলির মধ্যে একটি হল এটি। কালিম্পং (Kalimpong) থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মনোরম গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতখানি যে একবার দেখলে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
ফিক্কালে গাঁও থেকে ডেলো মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে রয়েছে একাধিক হোমস্টে। সেই হোমস্টেতে বসে বসেই আপনি দেখতে পাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য। পাশাপাশি এখানকার পাহাড়ি রাস্তা ধরে একটু এগোলেই পৌঁছে যাবেন গ্রামের গুম্ফায়। এই মনেস্ট্রির নাম হল কুণ্ডেলিং। বহু পুরনো না হলেও এখানকার অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হয়ে গিয়েছে এটি।
আরও পড়ুনঃ হাতের নাগালেই ‘মিনি ডুয়ার্স’! হালকা শীতে ঘুরে আসুন কলকাতার কাছের এই মনোরম জায়গা থেকে
এরপর এই গুম্ফার পাশের রাস্তা ধরে আপনি যদি এগোন তাহলে পৌঁছে যাবে ডেওরালি দাঁরা ভিউপয়েন্টে। এখানে দাঁড়িয়ে আপনি দেখতে পাবেন কালিম্পং, দার্জিলিং, ইচ্ছাগাঁও সহ একাধিক স্থান। পাশাপাশি নজর কাড়বে তিস্তার আঁকাবাঁকা পথচলা।
এই ভিউ পয়েন্টের খুব কাছেই অবস্থিত কালিম্পং শহর, ইচ্ছাগাঁও, ডেলো পার্ক। মন চাইলে আপনি ঘুরে ফেলতে পারবেন এই স্থানগুলি। পাশাপাশি এখানে ১৯৯৭ সালে তৈরি একটি হনুমান মন্দির রয়েছে। ইচ্ছা হলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন আপনি।
কীভাবে যাবেন?
কালিম্পং থেকে ফিক্কালে গাঁও যাওয়া ভীষণ সহজ। তবে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গেলে সেই দূরত্ব খানিকটা বেশি। কালিম্পংয়ের এই ছবির মতো সুন্দর গ্রামে থাকা-খাওয়ার কোনও সমস্যা নেই। এখানে প্রচুর হোমস্টে রয়েছে। সেখানে মাথাপিছু ১৮০০ টাকা মতো খরচ পড়তে পারে।