এমনিতে কথায় আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি। আর মাছের প্রতি বাঙালির দুর্বলতার কথা তো আর অজানা নেই কারও। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি প্রত্যেক বাঙালীরই খাওয়ার পাতে কিন্তু মাছ চাইই চাই। আর মাছের রকমারি পদ রান্নায় বাড়ির বড়দের বিশেষ করে মা, কালিমা, পিসি, ঠাম্মা এদের জুড়ি মেলা ভার।
বাংলার এমনই একটি সাবেকি রান্না হল কই মাছের হরগৌরি বা গঙ্গা যমুনা। এই রান্নার বিশেষত্ব হলো মাছের এক পিঠে থাকে সরষের ঝাল এবং অন্যদিকে থাকে তেঁতুলের টক। অর্থাৎ মাছের একই অঙ্গে থাকে দুটি ভিন্ন রূপ। সেকথা মাথার রেখেই করা হয়েছে এই বিশেষ নামকরণ। তাহলে আর দেরি না করে এবার দেখে নেওয়া যাক কই মাছের হরগৌরি বানানোর উপকরণ এবং পদ্ধতি।
কই মাছের হর গৌরি তৈরির উপকরণ :
• কই মাছ(একটু বড়ো সাইজের নিলে ভালো হয়।)
• সর্ষে বাটা
• তেঁতুলের রস
• জিরে গুঁড়ো
• কাঁচা লঙ্কা বাটা
• পেঁয়াজ বাটা
• আদা বাটা
• রসুন বাটা
• শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো
• হলুদ গুঁড়ো
• চিনি এবং
• নুন
কই মাছের হর গৌরি তৈরির পদ্ধতি:
•প্রথমে কই মাছগুলো কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে নুন হলুদ আর রসুন বাটা দিয়ে মেখে ১০ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখতে হবে।
• এরপর কড়াইতে তেল গরম করে মাছগুলো এপিঠ ওপিঠ করে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
• এবার মাছগুলো নামিয়ে নিয়ে ফ্রাইং প্যানে তেল দিয়ে তাতে সর্ষে বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা,আদা বাটা,সামান্য হলুদ গুঁড়ো আর স্বাদমতো নুন দিয়ে কষে নিতে হবে।
•এরপর সামান্য জল দিয়ে আরো ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
• জল ফুটে বেশ মাখা মাখা হয়ে এলে সেই অবস্থাতেই ভাজা কই মাছগুলো একে একে দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে মাছগুলো যাতে উল্টে না যায়।
• এই পর্যায়ে নীচের দিকে সরষে মাখানো হয়ে গেলে ওপরের দিকটা ফাঁকা রেখেই বানাতে হবে তেঁতুলের টকের গ্রেভিটা।
• তার জন্য অন্য একটি ফ্রাইং প্যানে তেল দিয়ে তাতে একে একে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো ,নুন এবং জল দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য কষিয়ে নিতে হবে।
• এরপর এর মধ্যে তেঁতুলের রস আর চিনি দিয়ে বেশ মাখা মাখা করে থকথকে একটা গ্রেভি তৈরি করে নিতে হবে।
• তৈরি হয়ে গেলে তা তুলে প্রথম ফ্রাইং প্যানে রাখা মাছের উপর খুব সাবধানে মাখিয়ে নিতে হবে।
• ব্যাস এবার গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করে আজই আপনার খাওয়ার পাতে ফিরিয়ে আনুন বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্নার স্বাদ।