মঞ্চে উঠে সঞ্চালকের গালে সপাটে চড়। ভারতীয় সময় সোমবার সকালে ঘটে যাওয়া এই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। কারণ এদিনের ওই মঞ্চটি যে সে কোনো আঞ্চলিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চ নয়, বরং ছিল খাস অস্কারের মঞ্চ। আন্তর্জাতিক স্তরের মঞ্চে ঘটে যাওয়া এমন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চারিদিকে শুরু হয় তুমুল আলোচনা থেকে শুরু করে লেখালেখি।
আসলে এদিন অস্কারের মঞ্চে সঞ্চালক তথা কমেডিয়ান ক্রিস রক জনপ্রিয় অভিনেতা উইল স্মিথের স্ত্রীকে নিয়ে অত্যন্ত নিম্ন রুচির রসিকতায় মেতে উঠেছিলেন। আর নিজের অসুস্থ স্ত্রী কে নিয়ে এমন নিম্ম রুচির রসিকতা করা হচ্ছে দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি অভিনেতা উইল স্মিথ। মেজাজ হারিয়ে সোজাসুজি অস্কারের মঞ্চে উঠে কড়া জবাব দেন স্মিথ।
১৯৯৭ সালের ছবি ‘জি আই জেন’। এই সিনেমায় নায়িকার মাথায় চুল কম থাকায় তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। স্মিথের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেটের মাথাতেও চুল কম। এই নিয়েই রসিকতা করে সঞ্চালক স্মিথের স্ত্রীকে ‘জি আই জেন ২’ বলে কটাক্ষ করেন। আসলে স্মিথের স্ত্রী জাডা ‘অ্যালোপেশিয়া’য় ভুগছেন। আর এই রোগে মাথার চুল পড়ে যায়। তাই স্ত্রীর অসুস্থতাকে নিয়ে রসিকতা করতে নিজের মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি উইল স্মিথ।
‘শাস্তি’ হিসাবে ক্রিস রকের গালে কষিয়ে থাপ্পড় মারেন অভিনেতা উইল স্মিথ। শুধু তাই নয় নিজের আসনে ফিরে এসেও চিৎকার করে ক্রিসের উদ্দেশ্যে ছাপার অযোগ্য চার অক্ষরের শব্দও ব্যবহার করেন ক্রুদ্ধ স্মিথ বলতে শুরু করেন, “তোমার (নোংরা) কথা থেকে আমার স্ত্রীকে দূরে রাখো!’’ এই একই ঘটনা যদি বাংলার অভিনেতাদের স্ত্রী দের সাথে ঘটতো তাহলে কি করতেন তারা। এ প্রসঙ্গে এদিন সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে ছোট পর্দার রোহিত সেন অভিনেতা স্পষ্ট বলেছেন “স্মিথ যা করেছেন, বেশ করেছেন। আমি থাকলেও তা-ই করতাম।’’ তবে তিনি নাকি এক চড়েই থামতেন না কষিয়ে দিতেন আরও ২-৩টি চড় মারতেন! টোটার মতে, এক এক সময়ে সত্যিই সঞ্চালকেরা মাত্রাজ্ঞান খুইয়ে বসেন। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা আরও বলেন “ক্রিস হয়তো সঞ্চালনা করে লাখ লাখ ডলার উপার্জন করেন। তাঁর মানে এটা নয়, যা ইচ্ছে হবে তিনি তা-ই বলবেন। জাডা ‘অ্যালোপেশিয়া’য় ভুগছেন। কারওর অসুস্থতা নিয়ে কটাক্ষ করা অমানবিকতার নামান্তর। তিনি মহিলা হলে তো কথাই নেই।”