বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) । বরাবরই মনের কথা মুখের ওপর বলতে ভালোবাসেন অভিনেত্রী। যার জেরে তাকে নিয়ে সমালোচনাও কম হয় না। কিন্তু কখনও কারও কথার ধার ধারেন না স্পষ্টবাদী শ্রীলেখা মিত্র। নিজের মর্জি মাফিক জীবন কাটান। আর সুযোগ পেলেই নিজের সুখ দুঃখের কাহিনী উজার করছে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আর সেই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কারও ট্যারা বাঁকা মন্তব্য চোখে পড়লেই মুখের ওপর সপাট জবাব দিতেও একমুহূর্ত সময় নষ্ট করেন না অভিনেত্রী। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তিনি। তাই ইতিপূর্বে একাধিকবার ইন্ডাস্ট্রির ছোটো বড় নানা বিষয়ের ঠিক ভুল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে সোচ্চার হয়েছেন অভিনেত্রী। তার জন্য কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় গলা ফাটিয়েছেন তো কখনও সংবাদমাধ্যমের হয়ে কলম ধরেছেন।
উল্লেখ্য গতকাল অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি ছিল ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা কুণাল মিত্রের (Kunal Mitra) মৃত্যু বার্ষিকী। ১৩ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি মাত্র ৪৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন ছোট পর্দার এই দাপুটে। একসময় তার সাথেই জুটি বেঁধে একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন শ্রীলেখা। অভিনেত্রী তার থেকে বয়সে ছোটো হলেও কাজ করতে করতে বন্ধুত্ব হয়ে যাওয়ায় তুই-তোকারি করতেন তারা।
কিন্তু বেশীরভাগ সিরিয়ালে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কুনাল-শ্রীলেখা। আর কাকতালীয়ভাবে তাদের পদবিও এক। যা দেখে সেসময় নাকি অনেকেই ভাবতেন তারা বাস্তবেও স্বামী স্ত্রী। সেই বন্ধুর আকাল প্রয়াণের ১৩ বছর পর আফসোসের সুর ঝরে পড়েছে শ্রীলেখার গলা দিয়ে। তাই তিনি লিখেছেন ‘দেখতে দেখতে ১৩ বছর পার। কুণাল মিত্রকে আর কারও মনে নেই।’
এরপরেই আজকের আধুনিক ইন্ডাস্ট্রির উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিনেত্রীর প্রশ্ন ‘কেমন আছেন ওর স্ত্রী? দুই সন্তান কত বড় হল? কেউ খোঁজ রাখেন না। আধুনিক টলিউড এমনই।’ এরপরেই তার আরও সংযোজন ‘আজ যাঁরা আমায় কাজ দেন না, কাজের কথা বলে বাদ দিয়ে দেন, জানানোর প্রয়োজনও বোধ করেন না, কাল আমি মরলে হয়তো তাঁরাই চোখ মুছে বলবেন, শ্রীলেখা মিত্রকে কেউ ঠিকমতো ব্যবহারই করতে পারল না। আমি নিশ্চিত, কাল আমি মরলে পরশু দিনই সবাই ভুলে যাবে শ্রীলেখা মিত্রকে।’