টলিউডের জনপ্রিয় ভিলেনদের (Tollywood villain) নামের তালিকা যদি প্রস্তুত করা হয়, তাহলে সেখানে অবশ্যই নাম থাকবে অনামিকা সাহার (Anamika Saha)। একাধিক সুপারহিট ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের ভয় ধরিয়েছেন তিনি। তবে জিৎ অভিনীত ‘ঘাতক’ ছবির বিন্দুমাসি চরিত্রে অভিনয় করে যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তেমনটা বোধহয় আর কিছুতে পাননি।
সম্প্রতি নামী সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলার সামনে নিজের অভিনয় জীবনের স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসেছিলেন অনামিকা। সেখানেই জানালেন কীভাবে ইতিবাচক চরিত্র দিয়ে নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর পরিবার এবং সমাজের চাপের কারণে অভিনয় থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী (Tollywood actress)। এরপর ফের ভিলেন হিসেবে একেবারে ‘ধামাকেদার’ ভঙ্গিতে কামব্যাক করেন ‘বিন্দুমাসি’।
সাক্ষাৎকারে অনামিকা বলেন, ‘পজিটিভ রোলও অনেক করেছি। কিন্তু নেগেটিভটাই বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। সেই লুকেই দর্শক আমায় বেশি পছন্দ করেছে’। কথার সূত্রেই অভিনেত্রী বলেন, ‘ঘাতক’ ছবিতে বিন্দুমাসির চরিত্রে অভিনয় করার পর অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁকে সেই নামেই লোকে ডাকত। শুধু তাই নয়, গ্রামে-গঞ্জের বাচ্চারা তাঁকে রীতিমতো ভয় পেত।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, ‘টালিগঞ্জের একমাত্র মহিলা ভিলেন আমি। কখনও একজন মেয়ে এভাবে ভিলেনের চরিত্র করেনি। ‘ঘাতক’এ আমিই মূল ভিলেন ছিলাম। জিৎ’কে চাপা দেব বলে আমি লরিও চালিয়েছি’।
এরপরই গ্রামে-গঞ্জের প্রসঙ্গ টেনে এনে অনামিকা বলেন, ‘ওখানে গেলে শুনতে পেতাম মায়েরা বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় বলছে, ‘এই খেয়ে নে, নাহলে বিন্দুমাসিকে ডেকে আনব কিন্তু’। একবার দেখি বাচ্চাকে কোলে নিয়ে তাঁর মা দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমার বাচ্চা খুব ভালোলাগে। আমি বলেছিলাম, ‘এসো আমার কাছে এসো একটু’। আর তা শুনেই বাচ্চাটা কাঁদতে শুরু করে দিয়েছিল।
অভিনেত্রী কথায়, এরপর সেই বাচ্চার মা এসে তাঁকে বলেছিলেন, ‘দিদি আপনি কিছু মনে করবেন না। আসলে ও ভয় পেয়ে গিয়েছে। বলছে আমায় বিন্দুমাসি মারবে’। অনামিকা বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত গ্রামে গেলে মানুষে বলে, ‘আমরা তো বাচ্চাদের বিন্দুমাসির ছবি দেখাই। দুষ্টুমি করলে বলি বিন্দুমাসিকে কিন্তু ডেকে আনব’।