প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) এবং সলমন খান (Salman Khan)- টলিউড (Tollywood) এবং বলিউডের (Bollywood) দুই সুপারস্টার। তাঁদের ছাড়া যথার্থভাবেই ইন্ডাস্ট্রির অচল। একজন খোদ ‘ইন্ডাস্ট্রি’, দ্বিতীয়জনের পরিচিতি আবার ‘ভাইজান’ নামে। তবে জানলে হয়তো অবাক হবেন, টলিপাড়ার বুম্বাদা কিন্তু বলিউডের ‘ভাইজান’ হতে পারতেন। প্রসেনজিতের রিজেক্ট করা একটি ছবি করেই ঘুরে যায় সলমনের কেরিয়ারের মোড়।
এই মুহূর্তে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রায় অভিভাবকসম প্রসেনজিৎ। গত কয়েক দশক ধরে টলিউডে রাজত্ব করার পর এখন তিনি বলিউডে কাজ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। শীঘ্রই রিলিজ করবে প্রসেনজিৎ অভিনীত হিন্দি ওয়েব সিরিজ ‘জুবিলি’। এই মুহূর্তে সেই সিরিজের প্রচারের কাজ নিয়েই বেজায় ব্যস্ত টলি সুপারস্টার।
তবে আপনি কি জানেন, সলমন অভিনীত ব্লকবাস্টার ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’র (Maine Pyar Kiya) জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন বাংলার প্রসেনজিৎ। কিন্তু তিনি সেই ছবিতে কাজ করেননি। এরপর সলমনকে নেওয়া হয়। বাকিটা তো সকলের জানা। সম্প্রতি সেই ছবির পরিচালক সুরজ বরজাতিয়াকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এড়িয়ে যান।
যদিও প্রসেনজিৎ অতীতে একাধিকবার ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন। তবে এবার অবশ্য ‘জুবিলি’ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে কথা বলতে চাননি তিনি। টলি সুপারস্টার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সেসব কথা এখন ছাড়ুন, ‘জুবিলি’ নিয়ে এখন বরং কথা বলি’।
যদিও বুম্বাদা জানান, বলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘সাংহাই’ ছবিটি ছিল তাঁর কেরিয়ারের প্রথম হিন্দি ছবি। পাশাপাশি বুম্বাদা এও বলেন, হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার জন্য তাঁর নতুন পরিচালকরাই তাঁর প্রথম পছন্দ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ভাইজান’ সলমন এবং ভাগ্যশ্রী অভিনীত ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’। সেই বছরের অন্যতম হিট ছবি ছিল এটি। আর এই ছবির হাত ধরেই রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে যান ভাইজান। তবে এই ছবির জন্য প্রথমে প্রসেনজিৎকে নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন নির্মাতারা। তবে টলি সুপারস্টার শেষ পর্যন্ত ‘অমর সঙ্গী’ ছবিটিকেই বেছে নেন।
এই ছবিটিও অবশ্য সুপারহিট হয়েছিল, বদলে গিয়েছিল বুম্বাদার কেরিয়ারের মোড়। অতীতে একাধিক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন, সেই সময় তিনি একটু দোটানায় ছিলেন। হয়তো সেই কারণের জন্যই তখন হিন্দি ছবিতে তাঁর হাতেখড়ি করা হয়ে ওঠেনি।