বিনোদন জগতে একের পর এক তারকা দম্পতিদের বিচ্ছেদের খবরে সর গরম পেজ থ্রির পাতা। একসময় ভালোবাসা আর বিশ্বাসের ওপর ভর করে যে সম্পর্ক তৈরি আজ সেই সম্পর্ক গুলোই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে হুড়মুড়িয়ে। এবার ভাঙনের গুঞ্জন (Separation Rumour) শোনা যাচ্ছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে।
শোনা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পর্কে তিক্ততা এসেছে বাংলার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি (Srijit Mukherjee) এবং তার স্ত্রী রাফিয়াত রাশিদ মিথিলার (Rafiath Rashid Mithila) মধ্যে। সম্প্রতি তাদের দুজনের সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টে ধরা পড়েছে তেমনি ইঙ্গিত। এমনিতে বরাবরই ঘুরতে দারুন ভালোবাসেন মিথিলা। সুযোগ পেলেই মেয়ে আরিয়াকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঝটিকা সফরে।
সম্প্রতি তেমনই মেয়ের সাথে ব্যাংকক ঘুরতে গিয়েছেন অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই সেখান থেকে মেয়ের সাথে ভিডিও শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে মিথিলাকে।সেখান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিজের একগুচ্ছের ছবি শেয়ার করে ইংরেজিতে কয়েকটি অর্থপূর্ণ লাইন লিখেছিলেন তিনি। যার অর্থ দাঁড়ায় ‘কিভাবে বুঝবে তুমি সত্যিই প্রেম? কিভাবে জানবে প্রেম প্রকৃত? উত্তর পেতে কতদূর যাওয়ার পর বুঝবে প্রেম আর নেই?’
আশ্চর্যের বিষয় ওই একই দিনেই বেশ উদাসী একটি পোস্ট করেছেন মিথিলার স্বামী সৃজিত মুখার্জিও। একটা নেড়া মাথার গাছে হ্যালান দিয়ে সমুদ্রের দিকে মুখ করে তাকিয়ে বেশ উদাসী একটা ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি।যার ক্যাপশনে সুজিত মুখার্জি লিখেছেন জোন বায়েজের লেখা ফেয়ারওয়েল অ্যাঞ্জেলিনা গানের একটি বিশেষ লাইন।
যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘রাগ নেই, দোষারোপ নেই, প্রমাণের কোন দায়ও নেই, সব একই আছে। শুধু একটা গাছ একাকী দাঁড়িয়ে আছে সমুদ্রের ধারে। বিদায় অ্যাঞ্জেলিনা। এবার আমায় বিদায় নিতে হবে’। তারকা দম্পতির এই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দেখেই তৈরি হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। যা দেখে নেটিজেনদের একাংশ একপ্রকার নিশ্চিত আগের মত আর নেই সৃজিত মিথিলার সম্পর্ক। বরং একসময়ের মিষ্টি সেই দাম্পত্য জীবনে এখন হয়ে উঠেছে বেশ খানিকটা তেতো।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে বেশ ধুমধাম করে চার হাত এক হয়েছিল সৃজিত মিথিলার। বিয়ের আগে বেশ কিছুদিন সম্পর্কে ছিলেন তারা। যদিও সৃজিতের আগেও মিথিলার একবার বিয়ে হয়েছিল, বাংলাদেশের গায়ক তথা অভিনেতা তাহসান খানের সাথে। তাদেরই মেয়ে একমাত্র মেয়ে আরিয়া। প্রসঙ্গত মাস কয়েক আগেই একাধিক পুরুষের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল মিথিলার। তাদের মধ্যেই নাম ছিল টলিউডের এক পরিচালকের।