সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar) এবং তৃণা সাহা (Trina Saha)- বাংলা বিনোদনপ্রেমী মানুষদের কাছে এই দুই নায়িকার আলাদা করে কোনও পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বাংলা সিরিয়াল দিয়ে কেরিয়ার শুরু হয়েছিল দু’জনের, এখন কাঁপাচ্ছেন টলিউড (Tollywood) এবং ওয়েব দুনিয়া। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের নিরিখে তুলনা করা হলে তৃণার থেকে সোহিনী সিনিয়র। ‘মাতঙ্গী’ (Matangi) নামের একটি ওয়েব সিরিজেও (Web Series) একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল দু’জনের।
রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) এবং ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে এই ওয়েব সিরিজ। কিন্তু এই সিরিজের শ্যুটিংয়ের (Shooting) সময়ই সেটের মধ্যে নাকি তৃণা আর সোহিনীর ঝগড়া (Fight) বেঁধে গিয়েছে! দুই নায়িকার কথা কাটাকাটি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে শ্যুটিং। মাথায় হাত পড়েছে নির্মাতাদের। কিন্তু হঠাৎ কী এমন হল যে এত বড় ঝগড়া লেগে গেল দুই নায়িকার মধ্যে?
তৃণা কিংবা সোহিনী এই নিয়ে কোনও কথা না বললেও স্টুডিওপাড়ার গুঞ্জন, প্রথম দিন থেকেই নাকি দুই অভিনেত্রীর মধ্যে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। তৃণার অভিযোগ, সোহিনীকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল। এরপর মেকআপ ভ্যানকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত হয়।
‘মাতঙ্গী’র শ্যুটিংয়ে সোহিনীর জন্য আলাদা মেক আপ ভ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে তৃণাকে সেই সুবিধা দেওয়া হয়নি। এই সিরিজের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৃণা, সোহিনী, রণিতা দাস এবং দেবশ্রী গাঙ্গুলী। তবে ছোটপর্দার গুনগুনের অভিযোগ, সোহিনীকে বেশি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। রেগেমেগে সেই জন্য শ্যুটিং ছেড়ে চলে যান তিনি।
এরপর সোহিনী আর্টিস্ট ফোরামের কাছে মেসেজ করে জানান, ২০১৮ সাল থেকে ব্যক্তিগত মেক আপ আর্টিস্ট, হেয়ার স্টাইলিস্ট এবং মেক আপ ভ্যান তিনি পেয়ে আসছেন। যদি অপেক্ষা করা হতো তাহলে তাঁর মতো অন্যরাও এমন বিশেষ বন্দোবস্ত পেতেন। নিজের বক্তব্যে সোহিনী কারোর নাম নেননি। কিন্তু এই মেসেজ পড়ে তৃণার খারাপ লাগে। অপমানিত বোধ করে শ্যুটিং ছেড়ে চলে যান তিনি।
এদিকে তৃণার সঙ্গে সিরিজের বেশ কয়েকটি দৃশ্যের শ্যুটিং ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁর বদলে অন্য কোনও অভিনেত্রীকে নেওয়ার কথা ভাবতে পারছেন না নির্মাতারা। এদিকে নায়িকাদের রেষারেষির জন্য শ্যুটিং বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন নির্মাতারা। এই প্রসঙ্গে এক নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘মাতঙ্গী’র প্রযোজক রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘কে, কেন, কী কী স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন তা পূর্ব নির্ধারিত। কাউকে কিছু অতিরিক্ত দেওয়া হচ্ছে এমনটা নয়। তবে সিনিয়রিটির জন্য সিনিয়ররা কিছু বাড়তি সম্মান পান। এটা পৃথিবীর সব জায়গায় ঘটে। সেটা নিয়ে কারোর খারাপ লাগলে সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়’।