বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। নিজের তুখোড় অভিনয় গুণে হাজার হাজার দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। নিজের প্রতিভার জোরে বলিউডেও (Bollywood) স্থান করে নিয়েছেন এই বঙ্গ তনয়া। স্বস্তিকা এমন একজন অভিনেত্রী যার অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গা নেই। তবে পড়াশোনায় কেমন ছিলেন এই টলিসুন্দরী?
সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে সেকথা নিজেই জানিয়েছেন স্বস্তিকা। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমি বেশ উঁচু ক্লাস অবধি মায়ের মাস্টার মশাইয়ের কাছে বাংলা (Bengali) আর ইংরেজি পড়তাম। এই মাস্টারমশাই আমার মা এবং মায়ের বাকি সব দাদা/ভাই/ বোনদেরও মাস্টারমশাই। আমার সবচেয়ে ছোট মাসি ছাড়া সবাই বাংলা মিডিয়াম। আমার মায়ের বাংলা অনার্সও’।
স্বস্তিকা জানান, তাঁর বাবা চেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে বাংলা মিডিয়ামেই পড়াশোনা করুক। কিন্তু অভিনেত্রীর মা তা হতে দেননি। কিন্তু মেয়ে ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করে বলে বাংলা জানবে না এমনটাও তিনি হতে দেননি। সেই জন্য গড়িয়ায় মায়ের মাস্টারমশাইয়ের কাছে ভর্তি হন তিনি।
স্বস্তিকা জানিয়েছেন, তাঁর বাংলা শেখার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্রী হলেও বাংলার তুখোড় ছাত্রী ছিলেন তিনি। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮৯ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি।
তবে স্বস্তিকা জানিয়েছেন, সাহিত্যে ভালো হলেও অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যায় ভালো ছিলেন না তিনি। নিজেকে ‘ফেল করা ছাত্রী’র তকমা দিয়েছেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘সারা জীবন পদার্থবিদ্যা, গণিতে ফেল করা হাত্রী আমি। রবি ঠাকুর বারংবার বাকি গুলোতে বাঁচিয়ে দিয়েছেন’। বাংলা, অঙ্ক, পদার্থবিদ্যার কথা লিখলেও মাধ্যমিকে কত নম্বর পেয়েছেন তা অবশ্য লেখেননি টলি অভিনেত্রী।
স্বস্তিকার কথায়, রবি ঠাকুর হলেন ওনার সুখ দুঃখের সাথী। ওনাকে আঁকড়ে ধরেই তিনি অগুনতি অনুভূতির আভাস পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, ভালো অভিনেত্রী হওয়া এবং মাটিতে পা রেখে চলতে শেখার কৃতিত্বও ‘কবিগুরু’কে দিয়েছেন স্বস্তিকা। ‘ভাগ্যিস মা রবি ঠাকুরকে এমনভাবে আঁকড়ে ধরতে শিখিয়েছিল’, লিখেছেন অভিনেত্রী।