আজকের দিনে দাঁড়িয়েও আমাদের সমাজে বডি শেমিং (Body Shaming) অন্যতম জঘন্য একটি সামাজিক ব্যাধি। প্রতিনিয়ত প্রতি পদে পদে,যার শিকার হচ্ছে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই। অফিস,বাড়ি,রাস্তাঘাট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া সর্বক্ষেত্রে ছবিটা এক। কে রোগা, কে মোটা কিংবা কার গায়ের রং চাপা তা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করার বিষয়টি নতুন নয় একেবারেই।
কমবেশি সকলেই ছোট থেকে এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন একাধিকবার । বাস্তবের এই ঘটনাই এবার উঠে এসেছে রূপালী পর্দায়। ঋতাভরী চক্রবর্তী এবং আবির চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘ফাটাফাটি’ সিনেমায় বডিশেমিং নিয়ে বিরুদ্ধে এভাবেই সপাটে চড় কষানো হয়েছে নিন্দুকদের গালে। আজই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
এই সিনেমায় বাস্তবের মতই বডি শেমিং এর শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী সিনহা মিত্র (Sanghasri Sinha Mitra)। পরনে কমলা শাড়ি, মাথায় খোপা, হাতে শাঁখা, পলা, সিঁথিতে সিঁদুর আর মুখে একগাল হাসি সবমিলিয়ে ‘মা’ শব্দটির জীবন্ত প্রতিমূর্তি তিনি। এমনই একটি মিষ্টি ছবিতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না জনৈক এক নেটিজেন।
ফাটাফাটিতে অভিনয় থেকে বাস্তবে বডি শেমিংয়ের জন্য কটাক্ষ সবকিছু নিয়েই সম্প্রতি আজকাল ডট ইন এর খোলামেলা আড্ডায় বসেছিলেন অভিনেত্রী। এদিন অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি শেয়ার করেছিলেন তার কমেন্ট সেকশনে উপচে পড়েছে একঝাঁক মন্তব্য।
প্রশংসার পাশাপাশি উপচে পড়েছে কটাক্ষের বন্যা। এমনি একজন লিখেছেন ‘ইস! কী রোগা তুমি’। অতি সাধারণ এমন একখানা ছবি দিয়েও এমন কটাক্ষ নজর এড়ায়নি অভিনেত্রীর। তাই প্রকাশ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই জনৈক নেটিজেনকে একহাত নিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন ‘ইস কেন? রোগা হলেও ইস! মোটা হলেও ইস! আপনার প্রোফাইল দেখে মনে হচ্ছে বিবর্তন হয়নি। তাই আপনার জন্য একটা বড় ইস!’
এই ট্রোল প্রসঙ্গে এদিন সংবাদমাধ্যমে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘বাড়িতেও তো শুনতে হয়– এত মোটা হচ্ছিস কেন! আর বাইরের কথা না হয় বাদ–ই দিলাম। রোগা হোক বা মোটা, সমালোচনা হবেই। ওবেসিটি যে একটা রোগ সেটা এখন মানুষ জানেন হয়তো। কিন্তু আমি ছোট থেকেই বডি শেমিংয়ের শিকার। এখন আর পাত্তা দিই না। আমার পুরুষালি স্বভাবের জন্যেও কথা শুনতে হয়।