বছর শেষের আগেই বিয়ের সানাই বেজেছিল টলিউড অভিনেত্রী (Tollywood actress) ঋতাভরী চক্রবর্তীর (Ritabhari Chakraborty) বাড়িতে। সদ্য সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন অভিনেত্রী দিদি চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী। তিনিও বিনোদন দুনিয়ার পরিচিত মুখ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছিল তাঁর বিয়ের ছবি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মিমেরও বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছেন চিত্রাঙ্গদা (Chitrangada Chakraborty)। কিন্তু কী এমন হয়েছিল তাঁর বিয়েতে যা নিয়ে নেটপাড়ায় চলছে হাসাহাসি?
সম্প্রতি ঋতাভরীর দিদি চিত্রাঙ্গদা দীর্ঘদিনের বন্ধু সম্বিত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছেন। হাই প্রোফাইল এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার বহু নামী ব্যক্তিত্বরা। বিয়ের দিনের বেশ কিছু মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন টলি সুন্দরী ঋতাভরী।
আগেই জানা গিয়েছিল, চিত্রাঙ্গদার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক। ঋতাভরী নিজেও ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ ছবিতে একজন মহিলা পুরোহিতের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর দিদির বিয়ের দায়িত্বও সামলেছেন একজন মহিলা পুরোহিতই।
ঋতাভরী তাঁর দিদির বিয়ের যে ছবি শেয়ার করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্বামী সম্বিতকে সিঁদুর পরাচ্ছেন চিত্রাঙ্গদা। সাম্য প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এই কাজ করেছিলেন তিনি। আর সেটি দেখেই ক্ষেপে উঠেছে নেটিজেনদের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢল নেমেছে মিম এবং কটাক্ষের।
নেটিজেনদের একাংশের কটাক্ষ করে বলেছেন, এভাবেই যদি সমাজের নিয়ম বদলাতে থাকে তাহলে এবার পুরুষরাও গর্ভবতী হয়ে উঠবেন। আর একজন আবার লিখেছেন, ‘পূর্বপুরুষরা অনেককিছু ভেবেই এসব নিয়ম বানিয়েছিলেন। সাম্যর নামে এসব নিয়ে নোংরামো না করলেই হচ্ছিল না?’
অনেকে আবার এই যুক্তিও দেখিয়েছেন, যদি সমাজের এসব প্রথা না মানার ইচ্ছা থাকে তাহলে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করলেও হয়। কিন্তু অহেতুক একটি সংস্কৃতিকে বিকৃত করার কোনও মানে হয় না। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, ঋতাভরী এবং তাঁর পরিবার এই কাজের মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। যদিও এখনও এই বিষয় নিয়ে মুখ খোলেননি ঋতাভরী-চিত্রাঙ্গদা বা তাঁদের পরিবারের কেউ। ফলে সময়ের সঙ্গে বেড়েই চলেছে বিতর্ক।