বাংলা সিনেমা তথা টলিউডের (Tollywood) জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। বাংলার অসংখ্য তরুণের কাছে এককথায় বং ক্রাশ তিনি। রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী এই টলি সুন্দরীর রূপের জেল্লা যেন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। আগামী ১২মে বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে ঋতাভরী অভিনীত সিনেমা ‘ফাটাফাটি’ (Fatafati)।
সকলেই জানেন গত দু’আড়াই বছরে অভিনেত্রীর শরীরে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। কখনও শারীরিক অসুস্থতার জন্য সার্জারির পর বেড়েছে ওজন। আবার কখনও সিনেমার জন্য স্বেচ্ছায় বাড়িয়েছেন ওজন। তবে স্লিম থেকে প্লাস সাইজ হওয়ার এই সফরে অভিনেত্রীকে একসময় তুমুল ট্রোলড করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও সেসব পাত্তা না দিয়েই নিজের কাজটাই মন দিয়ে করেছেন অভিনেত্রী।
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী নিজেই শেয়ার করেছিলেন তাঁর এই গোটা সফরের ঝলক। সেই সাথে একটা দীর্ঘ ক্যাপশনে উজাড় করে দিয়েছেন মনের জমানো কথা। সরব হয়েছেন যদি শেমিংয়ের বিরুদ্ধেও। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ঋতাভরী শুরুতেই জানিয়েছেন গতকাল তাঁর আসন্ন সিনেমা ‘ফাটফাটি’র গান ‘জানি অকারণ’ মুক্তি পেয়েছে।
তারপরেই অভিনেত্রী লিখেছেন ‘এই প্রথমবার আমি একটি বিশাল বড় শারীরিক বদলের মধ্যে দিয়ে গেলাম।আমার সার্জারির পর (প্রসঙ্গত ২০২১ সালে তাঁর একটি সার্জারি হয়) আমার প্রায় ৭ কিলো ওজন বেড়ে গিয়েছিল’। সেসময় চিকিৎসকের পরামর্শেই দীর্ঘ ৬ মাস শয্যাশায়ী ছিলেন অভিনেত্রী। যার সেসময় পরপর দুটো ছবির আফার পেয়েছিলেন তিনি।
তাই চরিত্রের প্রয়োজনেই ওজন কমিয়ে আগের চেহারায় ফিরেছিলেন অভিনেত্রী। এরপর ফাটাফাটির অফার পান তিনি। আর ঋতাভরীর কথায় ‘এই স্ক্রিপ্ট সব কিছু পাল্টে দেয়’। সেসময় স্ক্রিপ্ট শুনেই তিনি বুঝেছিলেন এই চরিত্রের জন্য তাঁকে ১৫-২০ কিলো ওজন বাড়াতে হবে। কিন্তু তারপরেও চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন ঋতাভরী।
কারণ তিনি মনে করেন ‘কিছু গল্প থাকে যার জন্য এত কষ্ট করা যায়।’ তাই এই ডাবল এক্সএল মডেলের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য আবার ওজন বাড়াতে হবে জেনেও কিংবাএই চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে অন্যান্য সব ছবির অফার হারাতে হবে জেনেও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন ঋতাভরী। এছাড়া এদিন বডি শেমিং প্রসঙ্গেও ঋতাভরী বলেছেন, ‘আমি সবসময় বডি শেমিংয়ের বিপক্ষে ছিলাম। আমি যেহেতু স্মল, এক্সট্রা স্মল, মিডিয়াম, লার্জ, ডাবল এক্সএল সব ধরনের শেপে ছিলাম সেহেতু জানি শেষ পর্যন্ত যেটা ম্যাটার করে সেটা হল লুকস। আমি যে ঋতাভরী ছিলাম সেই ঋতাভরী আছি’।