স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘দুর্গা’য় দেবী দুর্গার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ছোটো পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল দে। এরপর থেকে একাধিক ধারাবাহিকে দেবী দুর্গার চরিত্রে অভিনয় করতে করতে একসময় পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে দেবী দুর্গা আর পায়েল যেন একে অপরের সমর্থক হয়ে উঠেছিলেন। নিজের প্রতিভা আর অভিনয়ের দক্ষতায় দেখতে দেখতে ১৬ বছরের উপর ইন্ডাস্ট্রিতে তার কাটানো সারা।
দুর্গার পর পায়েলের আরেকটি চোখে লেগে থাকারমত অভিনয় দর্শক দেখেছিলেন, ‘বেহুলা’ সিরিয়ালে। মিষ্টি এই অভিনেত্রীর দুর্দান্ত অভিনয় তখনো পায়নি কদর। এরপর ‘বধূ কোন আলো লাগল চোখে’ নামের সিরিয়ালে তার অভিনয় আজও চোখে লেগে আছে। তবে তারপর বেশ কিছুদিন পর্দায় দেখা মেলেনি তার। কিন্তু সম্প্রতি, দেশের মাটি ধারাবাহিকে উজ্জয়িনী চরিত্রে অভিনয় করে ফের দর্শকদের মনে গেঁথে থেকেছেন পায়েল।
তবে কঠোর পরিশ্রমের পরেই আজ তিনি এই জায়গায়। দিন কয়েক আগেই অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য এর স্ত্রী-এর ভূমিকাতে ‘মুখোশ’ নামক একটি ছবিতে অভিনয় করেন পায়েল। খুব শিগগিরই নতুন ধারাবাহিকেও দেখা যাবে তাকে।
অভিনেত্রী পায়েল দে জানান, এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ১৬ বছর। আমি যখন ‘সাহিত্যের সেরা সময়’ করি তখন আমি দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ি। পরে, আমি ‘একদিন প্রতিদিনে’ অভিনয় করেছি। আমার যাত্রা সত্যিই বিস্ময়কর ছিল এবং আমি সমস্ত চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।
বিনোদন জগতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মনে করা করা হয় বিয়ে বা মাতৃত্ব কেরিয়ারে প্রভাব পড়ে। প্রচলিত ধারণা আছে মা হবার পর অভিনয়ের দক্ষতা কমে যায়। কিন্তু পায়েল বিয়ের পর, মা হওয়ার পরও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে চলেছেন। তিনি জানান, ২০১২ সালে ‘বধূ কোন আলো লাগল চোখে’ করতে করতেই তার বিয়ে হয়। এবং এরপর মেরখ অর্থাৎ অভিনেত্রীর ছেলে হওয়ার পর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা ছেড়ে দেন পায়েল। কারণ তিনি সেই সময়টুকু ছেলেকেই দিতে চেয়েছিলেন।
তবে পরে একটু ধাতস্থ হতেই অভিনয়ে ফেরেন তিনি। মাতৃত্ব মানেই কেরিয়ার শেষ এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন অভিনেত্রী৷ পায়েলের কথায় সংসার, পরিবার, এবং অভিনয়কে ব্যালেন্স করতে পারলে সব সম্ভব। এইক্ষেত্রে পায়েল জানান সত্যিই লীনা দি’কে ধন্যবাদ জানাব। তিনি ভরসা করে আমায় এই সুযোগ দিয়েছেন।