ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়াতে সেলেব্রিটি অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে ট্রোলিং (Trolling) যেন কমন একটা বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আজ ইনি তো কাল উনি হামেশাই সেলেব্রিটিদের ট্রোলিংয়ের নিয়েই কুরুচিকর মন্তব্য থেকে শুরু করে বাজে ট্রোলিংয়ের খবর মিলছে। সম্প্রতি গায়ের রং নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে দেশের মাটি সিরিয়ালের অভিনেত্রী শ্রুতি দাসকে (Shruti Das)। যে কারণে বাধ্য হয়ে পুলিশের দারস্ত হয়েছেন অভিনেত্রী।
এমনকি বহুদিনের অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়কে (Debashree Roy) নিয়েও হয়েছে ট্রোলিং। দীর্ঘদিন টলিউডের একাধিক হিট ছবি দেবার পর রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে এবার রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে ফিরতে চাইছেন অভিনয়ের জগতে। বাংলা সিরিয়াল সর্বজয়ার মধ্যে দিয়ে টেলিভিশন দুনিয়ায় কামব্যাক করছেন অভিনেত্রী। অথচ সিরিয়ালের ট্রেলার রিলিজ হতেই শুরু হয়েছে কুরুচিকর ট্রোলিংয়ের।
অভিনেত্রীর বিখ্যাত সিনেমার একটি গানের নকল করে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি মিম ভাইরাল হয়ে পড়ে। যাতে লেখা ছিল, ‘কলকাতার রসোগোল্লা এখন বাসি’। অভিনেত্রীর উপর এরূপ আক্রমনে সরব হয়েছিল টলিপাড়া। একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীরা দেবশ্রী রায়ের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল তাঁর মত হয়ে দেখতে পারবে না কেউই, ওঠছে শুধু মাত্র পপুলারিটি পাবার জন্য এভাবে নোংরা ট্রোল করা হচ্ছে।
এবার এই ধরণেরই ট্রোলিংয়ের শিকার হলেন টলিউডের আরেক অভিনেত্রী পায়েল সরকার (Paayel Sarkar)। অভিনেত্রী নিজের অভিনয় যাত্রা শুরু করেছিলেন ২০০৪ সালে, তবে পরিচিতি পেয়েছিলেন ২০০৭ সালে। দেবের সাথে আই লাভ কেউ ছবি ব্যাপক সারা ফেলেছিল টলিউডে। তার পর থেকেই একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে পায়েকলে। অভিনেত্রী পায়েলও রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। তবে রাজনীতির পাশাপাশি নানা ফটোশুটে দেখা গিয়েছে তাকে।
View this post on Instagram
সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয় অভিনেত্রী মাঝে মধ্যেই নিজের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে নেন অনুগামীদের সাথে। সময়ের সাথে বয়স বাড়লেও অভিনেত্রীকে দেখে কিন্তু সেটা বলাটা বেশ মুশকিল। কারণ তার সোশ্যাল মিডিয়াতে উঁকি দিলে যে ছবি দেখা যায় তা দেখে রীতিমত হার্টবিট বেড়ে যাবার জোগাড় হয়। সম্প্রতি অভিনেত্রী নিজের একটি ফটোশুটের ভিডিও শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে।
আর সেই ইনস্টাগ্রাম ভিডিও নিয়েই শুরু হয়েছে ট্রোলিংয়ের। ছবির কমেন্ট বক্সে এক নেটিজেনদের মন্তব্য ‘বিয়ে শাদি করেন। বয়স তো কম হয় নাই, এইভাবে আর কত বছর পার করবেন’। অবশ্য ছবিতে নেগেটিভ মন্তব্যের থেকে পসিটিভ মন্তব্যের সংখ্যাই বেশি। তবে এই ধরণের ট্রোলিং যেন বেড়েই চলেছে অভিনেতা অভিনেত্রীদের প্রতি।